নেটওয়ার্কিং

নেটওয়ার্ক কি ? এর বিভিন্ন প্রকার, ব্যবহার এবং সুবিধা

নেটওয়ার্ক এর প্রকারভেদ হলো

নেটওয়ার্ক বলতে কি বুঝায়, এছাড়াও আমরা নেটওয়ার্ক এর ইতিহাস এবং এর সাথে জড়িত অন্যান্য বিষয় গুলো জেনেনিব।

আগেকার সময়ে যখন কম্পিউটার এর চলন ছিলোনা, তখন যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে চিঠি পাঠানো হতো।

চিঠির মাধ্যমে লোকেরা তথ্যের (information) আদান প্রদান করতেন।

সোজা ভাবে বললে, তথ্য (information) গুলোকে এক জায়গার থেকে আরেক জায়গায় পাঠাতেন।

তবে সেই পুরোনো সময়ে চিঠির মাধ্যমে তথ্যের আদান প্রদান করাটা অনেক কঠিন কাজ ছিল এবং এতে অনেক বেশি সময় লাগতো।

ভাবুন তো, একটি রাজ্যের থেকে আরেকটি রাজ্যে বা দেশে চিঠির মাধ্যমে কোনো খবর বা তথ্য পাঠাতে কতটা বেশি সময় লাগতে পারে।

দিনের পর দিন পার হয়ে যাওয়ার পর সেই চিঠি তার নির্ধারিত গন্তব্যস্থানে পৌঁছতো।

তবে এরকম অনেক সময় হয়ে থাকতো যে, চিঠিটি তার নির্ধারিত সময়ে পৌঁছতে পারতোনা বা অনেক সময় কখনোই পৌঁছেনি।

তাই, সঠিক সময়ে তথ্যের অ্যালেন প্রদান না করতে পাড়ার ফলে যোগাযোগের প্রক্রিয়াতে ত্রুটির সৃষ্টি হতো।

তবে পুরো প্রক্রিয়া হলেও, চিঠির মাধ্যমে শারীরিকভাবে (physically) চিঠির মাধ্যমে করা তথ্যের (information) এর আদান প্রদান কিন্তু এক রকমের নেটওয়ার্কিং।

তথ্য (information) মানে, “message, text, photo, document, songs এবং video” যেকোনো জিনিস হতে পারে।

বর্তমানের আধুনিক সময়ে তথ্যের (information) এর আদান প্রদান করাটা প্রচুর সহজ এবং সোজা কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কেননা, বর্তমান সময়ে আমরা mobile phone, internet, social media ইত্যাদি বিভিন্ন মাধ্যমে ঘরে বসে বসেই অনেক সহজে তথ্যের আদান প্রদান করছি।

এবং এটাই হলো আজকের আধুনিক নেটওয়ার্কিং (networking).

চলুন, নিচে আমরা সরাসরি জেনেনেই যে, আসলে এই “নেটওয়ার্ক কাকে বলে“।

নেটওয়ার্ক কি ? (What Is Network in Bangla)

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক মানে কি, বিষয়টা অনেক সহজেই বুঝা যেতে পারে যদি আপনি মন দিয়ে বিষয়টা বুঝার চেষ্টা করে থাকেন।

যখন একাধিক কম্পিউটার পরস্পরে কোনো তার বা বেতার (wired or wireless) মাধ্যমে সংযুক্ত (connected) হয়ে থাকে তখন সেটাকেই বলা হয় নেটওয়ার্ক।

সাধারণ দুটি কম্পিউটার পরস্পরে সংযুক্ত থাকাটাকেও নেটওয়ার্ক বলা হয় আবার হাজার লক্ষ কম্পিউটার ডিভাইস পরস্পরে সংযুক্ত থাকলে সেটাও একটি নেটওয়ার্ক।

আর এভাবেই, যখন কম্পিউটার গুলো পরস্পরে কোনো মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে থাকে তখন তারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ (communication), ডাটার আদান প্রদান, শংসাধনের আদান প্রদান ইত্যাদি করতে পারেন।

চিন্তা করবেননা, বিষয়টা আরো ভালো করে বুঝিয়ে দিচ্ছি।

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর মধ্যে একসাথে একাধিক, হাজার, লক্ষ কম্পিউটার ডিভাইস পরস্পরে সংযুক্ত হয়ে থাকে।

আর নেটওয়ার্ক এর মধ্যে connected থাকা প্রত্যেক computer device গুলোকে বলা হয় “node“.

Node (একটি কম্পিউটার)”, নেটওয়ার্ক এর সাথে সংযুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে একটি মাধ্যমের প্রয়োজন।

এই মাধ্যম গুলোর মধ্যে তার বা বেতার যেকোনো মাধ্যম গুলো হতে পারে। কিছু অধিক ব্যবহার করা মাধ্যম হলো, Infrared, Satellite, twisted pair cable, Coaxial cable, cable, Wi-Fi, Bluetooth, Optical fiber ইত্যাদি।

এর সাথে সাথে বিভিন্ন networking devices গুলোর ব্যবহার করা হয়।

একটি Network বিভিন্ন Computers, servers, Mainframe, Network Devices এর একটি সংগ্রহ (collection).

এখানে মূলত data sharing এর কাজ হয়ে থাকে।

Network এর একটি সাধারণ উদাহরণ হতে পারে “Internet“.

ইন্টারনেট হলো বিশ্বের সব থেকে বড়, ব্যস্ততম এবং অধিক ব্যবহৃত একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক।

কেননা, ইন্টারনেট এর ক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ কম্পিউটার ডিভাইস গুলো পরস্পরে সংযুক্ত হয়ে রয়েছে এবং তারা নিজেদের মধ্যে ডাটা শেয়ার (data share) করে থাকে।

বিভিন্ন networking devices যেমন, “Router”, “Hub”, “Switch”, “Modem”, এইগুলো একটি নেটওয়ার্ক এর মধ্যে ব্যবহার করা হয়।

যেমন, Internet, Printer, File Servers ইত্যাদি এই ধরণের সংস্থান (resources) গুলোকেও নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে শেয়ার করা সম্ভব।

তাহলে আশা করছি, “network কি“, বিষয়টা বুঝতেই পেরেছেন।

নেটওয়ার্ক এর কাজ কি ? (What Do Networks Do)

নেটওয়ার্ক বলতে কি বুঝায় বিষয়টা জেনে নেওয়ার পর, চলুন এবার আমরা নেটওয়ার্ক এর কিছু কাজ গুলোর বিষয়ে জেনেনেই।

তথ্যের আদান প্রদান করার ক্ষেত্রে একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বিভিন্ন ধরণের কাজ গুলো করে থাকে।

নিচে এমন কিছু সাধারণ কাজ গুলোর বিষয়ে বলে দিচ্ছি যেগুলো করার ক্ষেত্রে একটি নেটওয়ার্ক এর প্রয়োজন।

  1. Email, video, instant messaging ইত্যাদির মাধ্যমে যোগাযোগ (communication) করা।
  2. Printers, scanners এবং photocopiers এর মতো বিভিন্ন device গুলোকে শেয়ার করার ক্ষেত্রে।
  3. একটি কম্পিউটার ডিভাইস থেকে আরেকটি কম্পিউটারে file share করার ক্ষেত্রে।
  4. বিভিন্ন remote system গুলোর মধ্যে software এবং operating programs গুলোকে শেয়ার করা।
  5. Network user দের বিভিন্ন information এবং data গুলোকে access এবং maintain করার সুবিধা দেওয়া।

বিশ্বের সর্ব প্রথম কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর নাম কি ?

বিশ্বের সর্ব প্রথম কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর নাম হলো “ARPANET“.

এটা প্রথম large-scale, general-purpose computer network ছিল যেটার মাধ্যমে আলাদা আলাদা কম্পিউটার ডিভাইস গুলোকে পরস্পরে সংযোগ করা হয়েছে।

October 29, 1969 সালে প্রথম বারের জন্যে ARPAnet দ্বারা একটি কম্পিউটার থেকে আরেকটি কম্পিউটারে “node-to-node” যোগাযোগের মাধ্যমে একটি message পাঠানো হয়েছিল।

যেই message টি পাঠানো হয়েছিল সেটা ছিল ““LOGIN””.

নেটওয়ার্ক কিভাবে তৈরি হয় ?

যখন একটি কম্পিউটার আরেকটি কম্পিউটার বা আরো একাধিক কম্পিউটার ডিভাইস গুলোর সাথে সংযুক্ত (connect) হয়ে থাকে,

তখন সৃষ্টি হয় একটি নেটওয়ার্ক এর।

একটি নেটওয়ার্ক তৈরি হওয়ার জন্যে মূলত ৫ টি মূল উপাদান গুলোর প্রয়োজন।

কেননা, এই উপাদান গুলোর মিশ্রনের ফলেই একটি নেটওয়ার্ক তৈরি হয়ে থাকে।

  • Sender 
  • Receiver
  • Message 
  • Protocol 
  • Transmission media 

এই প্রত্যেকটি উপাদান গুলোর একসাথে ব্যবহার করার বা হওয়ার ফলে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি হয়।

চলুন বিষয় গুলো ভালো করে বুঝে নেই।

Sender

সবচেয়ে প্রথমে প্রয়োজন বা ব্যবহার হয়ে থাকে একটি sender এর।

নেটওয়ার্ক তৈরি হওয়ার ক্ষেত্রে সব থেকে জরুরি এবং প্রথম উপাদান হলো sender.

কেননা, যখন আমাদের কোনো একটি তথ্য (information) সেন্ড (send) করার প্রয়োজন হয়ে থাকে, তখনি নেটওয়ার্ক এর প্রয়োজন চলে আসে।

তাই, sender হলো সেই কম্পিউটার ডিভাইসটি যেখানে সেই ডাটাটি (data) রয়েছে যেটাকে আমরা নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে অন্যান্য কম্পিউটার ডিভাইসে পাঠাতে চাইছি।

Receiver

Receiver হলো সেই device যেটা অপেক্ষায় রয়েছে sender থেকে data গ্রহণ করার ক্ষেত্রে।

উদাহরণ স্বরূপে, যদি আমার কম্পিউটার থেকে আপনার কম্পিউটারে কিছু ডাটা শেয়ার করার হচ্ছে,

তাহলে আমার কম্পিউটার হবে sender এবং আপনার কম্পিউটার হবে receiver.

Message

একটি কম্পিউটার থেকে আরেকটি কম্পিউটারে পাঠানোর জন্যে কিছু তথ্যের বা ডাটার প্রয়োজন হয়ে থাকে।

সেই ডাটা বা তথ্য যেকোনো হতে পারে, যেমন – voicevideo, text, document, image ইত্যাদি।

এই data বা information যেটাকে আপনি একটি কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে পাঠাতে চাইছেন,

সেটাকেই বলা হয় মেসেজ (message).

Protocol

Protocol হলো কিছু এমন set of rules যেটা sender এবং receiver দুজনের দ্বারা গ্রহণ করা হয়।

এই protocol ছাড়া, দুটি device পরস্পরে সংযোক (connect) স্থাপর করতে পারবে যদিও যোগাযোগ (communicate) করতে পারবেনা।

এটি network এর মধ্যে Data / information গুলোকে বিভিন্ন device এর মধ্যে কিভাবে কিভাবে প্রেরণ (transmitted) করা হবে সেটাকেই নির্ধারিত করে প্রোটোকল।

সোজা ভাবে বললে, প্রোটোকল (protocol) এর মাধ্যমে sender এবং receiver তাদের মধ্যে প্রেরণ করা information / data গুলোকে নিজের ভাষাতে অনুবাদ করে বুঝতে পারে।

Transmission media

একটি device থেকে আরেকটি device এর মধ্যে data transfer করার ক্ষেত্রে আমাদের প্রয়োজন হবে একটি transmission media র।

যেমন, wires, cables, radio waves, phone lines, twisted pair cables, coaxial cables, optical fibers ইত্যাদি।

বর্তমানে, বিভিন্ন wired এবং wireless media রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করা হয়।

 

এখন এই প্রত্যেক ৫ টি উপাদানের একসাথে কাজ করার ফলে তৈরি হয় একটি নেটওয়ার্ক এর।

নেটওয়ার্ক তখন তৈরি হয়ে থাকে যখন দুটি বা তার থেকে অধিক computer device পরস্পরে একটি transmission media র মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে থাকে এবং একি protocol এর সাথে একমত হয়ে পরস্পরে messages এর আদান প্রদান করে থাকে।

যেই computer তার মধ্যে থাকা information/data গুলোকে পাঠায় সেই কম্পিউটার sender হিসেবে কাজ করে।

এবং, যেই কম্পিউটার data/ information টিকে গ্রহণ করে সে receiver হিসেবে কাজ করে।

নেটওয়ার্ক এর মধ্যে ব্যবহার হওয়া বিভিন্ন devices গুলো

যদি একটি নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে তাহলে সেখানে বিভিন্ন networking devices গুলো কিন্তু connected হয়ে রয়েছে।

Data এবং information গুলো আলাদা আলাদা computer device গুলোর মধ্যে দিয়ে আদান প্রদান হতে থাকে।

দুটো নেটওয়ার্ক পরস্পরে সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে এবং নেটওয়ার্কিং করার ক্ষেত্রে আমাদের কিছু network devices ব্যবহার করতে হয়।

  • Computers, Servers, Mainframes
  • Smartphones, Tablet, PDAs
  • Cameras, Printers, FAXs
  • Firewalls
  • Bridges
  • Repeaters
  • Modem
  • Switches
  • Hubs
  • Routers
  • Network Interface Cards
  • Consoles,
  • Other Clients

নেটওয়ার্ক এর প্রকারভেদ হলো (Types Of Network)

এমনিতে কিন্তু নেটওয়ার্ক এর প্রকার অনেক রয়েছে। এগুলোকে এদের size, location এবং একটি সময়ে কতটি কম্পিউটার একসাথে connect করা যাবে, তার ওপরেই ভাগ করা হয়েছে।

এমনিতে, একটি নেটওয়ার্ক একটি ছোট জায়গার থেকে শুরু করে বিশ্বজুড়ে থাকা কম্পিউটার গুলোকে পরস্পরে সংযোগ হওয়ার সুযোগ দিয়ে থাকে।

চলুন এবার আমরা সরাসরি নেটওয়ার্ক এর প্রকারভেদ গুলো জেনেনেই।

  1. PAN (Personal Area Network)
  2. HAN (Home Area Network)
  3. LAN (Local Area Network)
  4. WAN (Wide Area Network)
  5. MAN (Metropolitan Area Network)

চলুন নেটওয়ার্ক এর প্রত্যেকটি প্রকারের বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনেনেই।

PAN (Personal Area Network)

Personal Area Network অনেক ছোট রকমের একটি নেটওয়ার্ক যেটা একটি ঘরের মধ্যে সীমিত থাকে।

PAN এর মধ্যে একটি বা একাধিক কম্পিউটার পরস্পরে সংযুক্ত হয়ে থাকতে পারে।

এর বাইরেও এই নেটওয়ার্ক এর মধ্যে telephone, video game console ইত্যাদি সংযুক্ত থাকতে পারে।

এটা সাধারণত একটি ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক যেটাকে নিজের ঘরের মধ্যে বা কর্মস্থানে (office) ব্যক্তিগত ব্যবহারের উদ্দেশ্যে তৈরি / ব্যবহার করা হয়।

PAN এর মাধ্যমে computers, smartphones, tablets এবং personal digital assistants এর মধ্যে ডাটার প্রেরণ করা যেতে পারে।

সাধারণে এই নেটওয়ার্ক এর রেঞ্জ 10 meters এর মধ্যে সীমিত থাকে।

HAN (Home Area Network)

একটি home area network (HAN) হলো এমন একটি নেটওয়ার্ক যেটাকে প্রসারিত এবং নিয়ন্ত্রিত করা হয় একটি ছোট সীমানার মধ্যে।

সাধারনে এটাও ঘরের মধ্যে বা ছোট অফিসে তৈরি করা হয়।

HAN নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে একাধিক কম্পিউটার ডিভাইস গুলোর মধ্যে পরস্পরে যোগাযোগ এবং শেয়ারিং এর স্থাপন করা হয়।

এই network connection এর মধ্যে ব্যক্তি নিজের ব্যক্তিগত computers, mobile, smart tv, printer এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত devices গুলকে connect করতে পারে।

এই Home Area Network এর মাধ্যমে মূলত internet connection শেয়ার করা হয়।

LAN (Local Area Network)

LAN হলো এমন একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক যেটা একটি সীমিত সীমার মধ্যে থাকা কম্পিউটার গুলোকে পরস্পরে সংযোগ স্থাপন করার সুযোগ দেয়।

যেমন, College, School, Business Organisation, university campus বা office building ইত্যাদি এই ধরণের জায়গা গুলোতে LAN ব্যবহার হয়ে থাকে।

HAN এবং PAN এর তুলনায় local area network এর range অধিক বেশি থাকে।

LAN একটি ছোট্ট নেটওয়ার্ক হতে পারে আবার একটি বড় নেটওয়ার্ক হিসেবেও কাজ করতে পারে।

একটি single user/device  থেকে শুরু করে হাজার হাজার user/device এই নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে connect হতে পারবেন।

WAN (Wide Area Network)

Wide area network (WAN) হলো একটি অনেক বড় কম্পিউটার নেটওয়ার্ক যেটা অনেক দূরে দূরে থাকা বিভিন্ন কম্পিউটারের সমষ্টি (group) গুলোকে connect করে।

সোজা ভাবে বললে, যেকোনো বড় নেটওয়ার্ক যেটা একটি বিশাল ভৌগোলিক অঞ্চল (geographic area) নিয়ে ছড়িয়ে রয়েছে সেই নেটওয়ার্ক কেই বলা হবে WAN.

এর উদাহরণ স্বরূপে আমরা “Internet” কেই ধরতে পারি।

আবার এভাবেও বলা যেতে পারে যে, একটি wide-area network (or WAN) হলো এমন একটি নেটওয়ার্ক যেটা ছোট ছোট ছোট নেটওয়ার্ক গুলকে সংযোগ (connect) করে।

Wide area network (WAN) ব্যবহার করা হয় আলাদা আলাদা LAN network গুলকে পরস্পরে সংযোগ করানোর জন্যে।

কেননা, LAN এর একটি সীমিত রেঞ্জ রয়েছে এবং সীমার বাইরে LAN এর মাধ্যমে connect হওয়া সম্ভব না।

এমনিতে বিভিন্ন ধরণের WAN রয়েছে যেমন, public packet network, Large Corporate network, Military networks, Banking networks, railway reservation network এবং Airline Reservation network ইত্যাদি।

MAN (Metropolitan Area Network)

একটি MAN (metropolitian area network) এমন একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক যেটা WAN থেকে ছোট তবে LAN থেকে বড়।

এটা একটি সম্পূর্ণ শহরের মধ্যে থাকা কম্পিউটার গুলোকে সংযোগ করতে পারা নেটওয়ার্ক।

একটি শহরের মধ্যে থাকা বিভিন্ন ছোট-বড় College, School, government office ইত্যাদির নেটওয়ার্ক গুলকে এই নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে সংযুক্ত রাখা হয়।

LAN এর থেকে বড় এই network প্রায় 10KM থেকে 100KM এর মধ্যের রেঞ্জ কভার করে থাকে।

মূলত, একাধিক LAN গুলোকে পরস্পরে সংযোগ করিয়ে একটি বড় নেটওয়ার্ক তৈরি করার ক্ষেত্রে এর ব্যবহার হয়ে থাকে।

 

আমাদের শেষ কথা,,

তাহলে বন্ধুরা, আশা করছি আপনার অনেক ভালো করেই বুঝতে পেরেছেন যে “নেটওয়ার্ক কাকে বলে” বা “নেটওয়ার্ক মানে কি”.

এছাড়া, নেটওয়ার্ক এর বিষয়ে লিখা আমাদের এই আর্টিকেল যদি আপনাদের পছন্দ হয়েছে,

তাহলে আর্টিকেলটি শেয়ার অবশই করবেন।

তাছাড়া, “about computer network in Bengali”, বিষয়টি নিয়ে যদি কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকে,

তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিবেন।

আমার সব সময় এটাই চেষ্টা রয়েছে আমি যাতে আপনাদের সম্পূর্ণ কাজের এবং সঠিক তথ্য প্রদান করতে পারি।

তাই, আর্টিকেল ভালো লাগলে শেয়ার অবশই করুন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button