তথ্য প্রযুক্তি

এক্সিকিউটিভ সাপাের্ট সিস্টেম বা ইএসএস (Executive Support System or ESS)

সর্বোচ্চ স্তরের ব্যবস্থাপকরা কোন একটি বিষয়ের উপর সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় উপযুক্ত বিতর্কের উপস্থাপনা করতে ESS সিস্টেম ব্যবহার করেন। ESS সিস্টেমে কোন একটি বিষয়ের উপর ডেটাভিত্তিক ও চিত্রভিত্তিক উপস্থাপনা ফুটে ওঠে। এতে করে বিষয় সংশ্লিষ্ট দুর্বলতা শক্ত অবস্থান ইত্যাদি বিষয়গুলো সহজে অনুধাবনযোগ্য হয় ব্যবস্থাপকদের নিকট। ব্যবস্থাপকগণ তাদের স্বকীয়তা, বিচারবুদ্ধি, বিচক্ষণতাকে কাজে লাগিয়ে দ্রুত একটি সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর আর কোন বিতর্ক চলে না। ESS এর মাধ্যমে কোন একক সমস্যা সমাধানের মডেল করা হয় না। বিভিন্ন সমস্যাকে ESS এর মাধ্যমে উপস্থাপন করার ব্যবস্থা থাকে। ESS সিস্টেমে অত্যাধুনিক Graphical User Interface ব্যবহার করা হয়। যার মাধ্যমে গ্রাফ চিত্রের দ্বারা বিভিন্ন ডেটার তুলনামূলক অবস্থা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়।

ESS সিস্টেমে What if শর্ত ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ সিমুলেশন করা হয়। আবার বিভিন্ন আঙ্গিকে ডেটাকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। যেমন আমরা যদি Sales Promotion নিয়ে আলোচনা করি সে ক্ষেত্রে এলাকা বা জোনভিত্তিক বিক্রয় হার সপ্তাহ বা মাসভিত্তিক বিক্রয় হার ইত্যাদি বিভিন্নরূপে বিক্রয়কে দেখা যেতে পারে।

ESS সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য

• স্ট্র্যাটিক পর্যায়ে ব্যবহৃত ইনফরমেশন সিস্টেম।

• অর্গানাইজেশনের অন্তর্বর্তী ও বাইরের উভয় প্রকার ডেটা ইনপুট হিসেবে গৃহীত হয়।

• সিদ্ধান্তগুলো সাধারণত অসংগঠিত।

• গ্রাফ চিত্রভিত্তিক বা সংখ্যাভিত্তিক প্রেজেন্টেশন পাওয়া যায়।

• রিপাের্ট তুলনামূলক বিশ্লেষণের উপযোগী করে তৈরি।

ESS সিস্টেমের সুবিধা

• স্ট্র্যাটিক পর্যায়ে ব্যবহৃত ইনফরমেশন সিস্টেম।

• ম্যানেজমেন্টের জন্য ডেটা ফিল্টার করে।

• সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে।

• সহজে সংশ্লিষ্ট দুর্বলতা নির্ণয় করে।

• অত্যাধুনিক Graphical User Interface ব্যবহার করে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button