প্রশ্ন ও উত্তর

পঞ্চম অধ্যায় : স্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টি, শারিরীক শিক্ষা স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ও খেলাধুলা

স্বাস্থ্য কী?

উত্তর : শারীরিক সুস্থতা বা শরীরের নিরোগ অবস্থাই স্বাস্থ্য।


পুষ্টিকর খাদ্য কাকে বলে?

উত্তর : যেসব খাদ্য শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখে সেগুলোকে পুষ্টিকর খাদ্য বলে।


মানুষের কখন দৈহিক বৃদ্ধি দ্রুত হয়?

উত্তরঃ বয়ঃসন্ধিকালে।

খাদ্য উপাদান কয়টি?

উত্তরঃ খাদ্য উপাদান ৬ টি।

ভিটামিন ‘ডি’ এর অভাবে কী রোগ হয়?

উত্তরঃ ভিটামিন ‘ডি’ এর অভাবে শিশুর রিকেটস রোগ হয়।

ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগ কোনটি?

উত্তরঃ রিকেটস।

দেহের ক্ষয়পূরণের জন্য কোনটি বেশি প্রয়োজন?

উত্তরঃ ডিম।

শৈশবকালে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন কোনটির?

উত্তরঃ আমিষের।

ORS এর পূর্ণরূপ কী?

উত্তরঃ Oral Rehydration Solution।

সুষম খাদ্য কাকে বলে?

উত্তরঃ খাদ্যের ৬ টি উপাদান সমৃদ্ধ খাবারকে সুষম খাদ্য বলে।

পুষ্টিহীনতা কী?

উত্তর : দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবকে পুষ্টিহীনতা বলে।

যে সকল খাদ্য শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখে সেগুলোকে কী বলে?

উত্তরঃ যে সকল খাদ্য শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখে সেগুলোকে পুষ্টিকর খাদ্য বলে।

ক্যালরি কাকে বলে?

উত্তরঃ খাদ্য হতে উৎপন্ন তাপ মেপে যে এককে প্রকাশ করা হয় তাকে ক্যালরি বলে।

কোনটির অভাবে গলগণ্ড রোগ হয়?

উত্তরঃ আয়োডিনের অভাবে গলগণ্ড রোগ হয়।

প্রাণিজ আমিষ কাকে বলে?

উত্তরঃ যেসব আমিষ প্রাণী হতে পাওয়া যায় তাদেরকে প্রাণীজ আমিষ বলে।

ভিটামিনকে জৈবিক প্রভাবক বলা হয় কেন?

উত্তরঃ ভিটামিনসমূহ প্রত্যক্ষভাবে দেহ গঠনে অংশগ্রহণ না করলেও এদের অভাবে দেহের ক্ষয়পূরণ, বৃদ্ধিসাধন বা দেহে তাপ ও শক্তি উৎপাদন ইত্যাদি ক্রিয়াগুলো সুসম্পন্ন হতে পারে না। জীবদেহের বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ ক্রিয়াকলাপ এদের সাহায্যে নিয়ন্ত্রিত হয় বলে ভিটামিনসমূহকে জৈবিক প্রভাবক বলা হয়।

খাদ্য ও পুষ্টি সমার্থক নয়— ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ যেসব জৈব উপাদান গ্রহণের ফলে শরীরের ক্ষয়পূরণ, বৃদ্ধিসাধন ও তাপ সংরক্ষণের কাজ সম্পন্ন হয় তকে খাদ্য বলে। অপরদিকে, খাদ্যদ্রব্য শোষণের পর দেহের বিভিন্ন কাজ করার প্রক্রিয়াই হচ্ছে পুষ্টি। সুতরাং বলা যায়, খাদ্য ও পুষ্টি সমার্থক নয়।

আমাদের সুষম খাদ্যের প্রয়োজন কেন?

উত্তরঃ সুষম খাদ্য আমাদের দেহের প্রয়োজনীয় ক্যালরির চাহিদা পূরণ করে। স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিভিন্ন প্রকার শারীরবৃত্তীয় কাজও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে। সুষম খাদ্য হতে দেহের প্রয়োজনীয় সব রকম উপাদান পাওয়া যায় বলে আমাদের দেহে সুষম খাদ্যের প্রয়োজন।

পুষ্টিহীনতার প্রধান কারণ কী?

উত্তরঃ পুষ্টিহীনতার প্রধান কারণ অজ্ঞতা ও অসচেতনতা। মানুষ খাদ্যের পরিমাণ, উপাদান এবং খাদ্যের উপকারিতা যখন না জানে তখনই মূলত পুষ্টিহীনতা দেখা যায়। একই ধরনের খাবার কোনটিতে পুষ্টি কম আবার কোনটিতে বেশি এগুলো না জানা থাকাও পুষ্টিহীনতার অন্যতম কারণ।

বটিউলিজম বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ টক্সিনজাত বিষাক্ত খাদ্য শরীরের জন্য মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি করে। যেমন- বমি, কোষ্ঠবদ্ধতা, দৃষ্টিশক্তির বিকৃতি, স্নায়ুর পক্ষাঘাত, দুর্বলতা প্রভৃতি উপসর্গ প্রকাশ পায়া এ ধরনের ফুড পয়জনিংকে বটিউলিজম বলা হয়।

ফুড পয়জনিং বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ ব্যাকটেরিয়া খাদ্যদ্রব্যকে নষ্ট করে এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থ উৎপন্ন করে। এই বিষাক্ত উপাদানগুলোকে টক্সিন বলে। এই টক্সিনগুলো আবার বিভিন্ন রকম হয়। খাদ্যের এ অবস্থাকে আমরা ফুড পয়জনিং বলি। এই ফুড পয়জনিং- এর কারণে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

আমাদের দেহের জন্য আমিষ জাতীয় খাদ্যের প্রয়োজন কেন?

উত্তরঃ আমিষ জাতীয় খাদ্য আমাদের দেহের ক্ষয়পূরণ, বৃদ্ধিসাধন, নতুন কোষ সৃষ্টি, এন্টিবডি উৎপাদন, জারক রস সৃষ্টি ও হিমোগ্লোবিন তৈরি করে থাকে। এছাড়াও কোষীয় বিপাক, মানসিক বিকাশ, হরমোন ও চর্বি গঠনে আমিষ জাতীয় খাদ্য প্রয়োজন।

পানি জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য কেন?

উত্তরঃ প্রাণীদেহের শতকরা ৭০ ভাগই পানি। পানি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে খাদ্যের সাথে গৃহীত হয়। পানি প্রাণীদেহে দ্রাবকের কার্য সম্পাদন করে। খাদ্যসার প্রাথমিকভাবে পানিতে দ্রবীভূত হয়। অতঃপর স্থানান্তরিত হয় এবং দেহের সর্বত্র পরিবাহিত হয়। পানি দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। কাজেই বলা যায় পানি জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য।

কীভাবে খাদ্যে বিষক্রিয়া তৈরি হয়? ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ খাদ্য তৈরি করে অনেকক্ষণ রেখে দেওয়া; খাবার তৈরির আগে, তৈরির সময় এবং পরে বাজার থেকে খাদ্যদ্রব্য ক্রয়ের সময় ক্ষতিকর কীটপতঙ্গের সংস্পর্শে কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা সংক্রমিত অথবা টক্সিন বা বিশেষ ধরনের জৈববিষ দ্বারা খাদ্যে বিষক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

আরো পড়ুনঃ-

১। নবম-দশম শ্রেণির প্রথম অধ্যায় : সুস্থজীবনের জন্য শারীরিক শিক্ষা

২। দ্বিতীয় অধ্যায় : শারীরিক সক্ষমতা, নবম-দশম শ্রেণির শারীরিক শিক্ষা

৩। নবম-দশম শ্রেণির তৃতীয় অধ্যায় : মানসিক স্বাস্থ্য ও অবসাদ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button