Technology

হোম থিয়েটার নিয়ে বিস্তারিত; যে তথ্য গুলো আপনার জানা প্রয়োজনীয়!

কতো টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে হবে?

এন্টারটেইনমেন্ট প্রিয় মানুষদের জন্য হোম থিয়েটার সিস্টেম একটি হোম এন্টারটেইনমেন্ট অপশন যেটা ভিডিও দেখা এবং শোনা উভয় ক্ষেত্রেই অসাধারণ অভিজ্ঞতা প্রদান করে থাকে। যাই হোক, অনেক কনজিউমার রয়েছে তারা হয়তো হোম থিয়েটার নামটির সাথে পরিচিত কিন্তু এর বেশি কিছুই আর জানেন না, তারা বিভ্রান্তির মধ্যে থাকেন, কিভাবে হোম থিয়েটার সেটআপ করবেন, বা তাদের আসলে কি কি বিষয় জানা প্রয়োজনীয়। হোম থিয়েটার মানেই কিন্তু লাখো টাকার সেটআপ নয়, এই আর্টিকেল থেকে হোম থিয়েটার বেসিক গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু জানুন…


এই আর্টিকেলের বিষয়বস্তু সমূহ

হোম থিয়েটার

হোম থিয়েটারের যদি শাব্দিক অর্থ ব্যবহার করে বিশ্লেষণ করা হয়, তবে এই অডিও এবং ভিডিও’র একটি সেটআপ যেটা বাড়িতে করা হয়, বিশেষ করে থিয়েটারের নকল কিছু বাড়িতে সেটআপ করাকেই হোম থিয়েটার বলা হয়। অনেক কনজিউমার মনে করেন, হোম থিয়েটার মানেই বিশাল কিছু আর এটা সেটআপ করতে বহু টাকার দরকার হয়, কিন্তু আসলে সেটা নয়। হ্যাঁ, অনেকের মতে হোম থিয়েটার বলতে, বিশাল হাই এন্ড ৪কে বা ওলেড ৪কে টিভি অথবা ভিডিও প্রজেক্টর, ব্লুরে ডিস্ক প্লেয়ার, ৪কে ব্লুরে ডিস্ক প্লেয়ার, মিডিয়া সার্ভার, ক্যাবল অথবা স্যাটেলাইট কানেকশন, প্রত্যেক চ্যানেল অডিও’র জন্য আলাদা অ্যামপ্লিফায়ার, আশেপাশের স্পীকার, দেয়ালে টাঙ্গানো স্পীকার, অনেক সাবওয়াফার —যেগুলো সেটআপ করতে ১০-১৫ লাখ টাকার মতো খরচ পড়তে পারে!

কিন্তু রিয়াল হোম থিয়েটার বলতে কিন্তু বিশাল খরচে সেটআপের কোনই প্রয়োজনীয়তা নেই। আর হোম থিয়েটার ইন্সটল করতে আপনার লাখ লাখ টাকাও লাগবে না। আপনার কাছে যদি ৩০-৫০ ইঞ্চি সাধারণ টিভি থাকে, সাথে ডিভিডি বা ব্লুরে প্লেয়ার, সাথে স্টেরিয়ো রিসিভার অথবা হোম থিয়েটার রিসিভার, সাধারণ স্পীকার, এবং সাব-ওয়াফার —এই সেটআপ তৈরি করতে মাত্র কয়েক হাজার টাকার প্রয়োজন, এভাবেই আপনি হোম থিয়েটার সেটআপ করে ফেলতে পারেন। আজকের দিনে ৩০-৩২ ইঞ্চি আইপিএস এলসিডি টিভি’র দাম খুব একটা বেশি নয়, ২০ হাজারের মধ্যেই হয়ে যাবে। ডিভিডি প্লেয়ার তো ৫ হাজারেই পাওয়া যায়। তবে আজকের হোম থিয়েটারে আরেকটি টার্ম যুক্ত হয়েছে, সেটা ইন্টারনেট স্ট্রিমিং। ইন্টারনেট থেকে কনটেন্ট দেখার জন্য অবশ্যই আপনার টিভি’টিকে ইন্টারনেট টিভি হতে হবে, তবে চিন্তার কোন কারণ নেই এখন তো ইন্টারনেট টিভি বক্স, যেটার দাম ৩-৪ হাজার টাকা, যেকোনো সাধারণ টিভি’কেউ ইন্টারনেট টিভি বানিয়ে দিতে পারে।

তো এক কথায় বলতে, হোম থিয়েটার হচ্ছে হোম এন্টারটেইনমেন্টের একটি কমপ্লিট প্যাকেজ, যেখানে অডিও এবং ভিডিও প্লে করার জন্য সকল টেক মজুদ থাকবে। সিনেমা সরাসরি রিলিজ করার সময় হয়তো আপনি সেটি উপভোগ করতে পারবেন না, কেনোনা সাথে সাথে ডিভিডি বা ব্লুরে ডিস্ক বাজারে আসে না, তবে কয়েক মাস অপেক্ষা করার পরে আর নিজের থিয়েটারে সেটাকে উপভোগ করতে পারবেন। তাছাড়া যেকোনো সিনেমার জন্য ডিভিডি এবং ব্লুরে’র জন্য রয়েছে বিশাল কালেকশন। আপনি চাইলে ইউএসবি ডিভাইজ, পেনড্রাইভ, হার্ডড্রাইভ থেকেও মিডিয়া প্লে করতে পারেন, যদি বেশি বাজেট থাকে, তো কয়েক টেরাবাইটের একটি হোম সার্ভার ইন্সটল করে নিতে পারেন।

এইচডি টিভি

 

আজকের দিনে এইচডি টিভি অনেকটা আবশ্যক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে, আর সত্যি বলতে এর চাহিদা বাড়ার কারণ হচ্ছে পেছনের কয়েক বছরে এইচডি টিভি’র দাম অনেক কমে গেছে। যাই হোক, একটি আদর্শ হোম থিয়েটার সিস্টেমে এইচডি টিভি থাকা আবশ্যক। যদি ফুল এইচডি টিভি বা ৪কে টিভি থাকে, সেটা আলাদা কথা! অনেক কনজিউমার এইচডি টিভি কেনেন, কিন্তু ক্যাবল টিভি বা এনালগ টিভি ক্যাবলে লাগিয়ে ভালো পিকচার কোয়ালিটি পান না, অনেকে মনে করেন কি যে এইচডি টিভি কিনলাম। শুধু এইচডি টিভি থাকলে হবে না বন্ধু, অবশ্যই আপনার সোর্স থেকেও ট্রু এইচডি কন্টেন্ট প্লে করতে হবে।

মানে ১০০ টাকা মাসের এনালগ ভিএইচএস ক্যাবল সিগন্যাল ব্যবহার করে এইচডি টিভি দেখলে সেটা অনেকটা বিরক্তিকর ব্যাপার। আপনার অবশ্যই নিজস্ব এইচডি স্যাটেলাইট রিসিভার থাকতে হবে, না হলে এইচডি ক্যাবল লাইন থাকতে হবে, অথবা আপনার টিভি’র বিল্ডইন ইউএসবি পোর্টে ইউএসবি মিডিয়া থেকে ট্রু এইচডি ভিডিও প্লে করতে হবে। তবেই আপনি এইচডি টিভি’র আসল সুবিধা নিতে পারবেন। সাধারণ ডিভিডি প্লেয়ার এইচডি কনটেন্ট প্লে করতে পারে না, অবশ্যই আপনার একটি ব্লুরে প্লেয়ার অথবা এইচডি ডিভিডি প্লেয়ার প্রয়োজনীয় হবে। সাথে অবশ্যই যে মিডিয়া ফাইলটি প্লে করছেন সেটাও এইচডি ফরম্যাট (১২৮০x৭২০) রেকর্ডেড এবং এনকোডেড থাকতে হবে। যদি ইন্টারনেট থেকে কোন ভিডিও স্টিম করেন, সেক্ষেত্রে অবশ্যই ৭২০পি কোয়ালিটি সিলেক্ট করে দিতে হবে। তবে ইন্টারনেট স্টিমিং কন্টেন্ট গুলো কখনোই ট্রু এইচডি হয়না। ব্যান্ডউইথ বাঁচানোর জন্য ইন্টারনেট স্ট্রিমিং কনটেন্ট গুলোকে কমপ্রেস করে রাখা হয়, যেখানে লসলেস ফরম্যাট বা ব্লুরে ডিস্কে ট্রু এইচডি মিডিয়া সেভড থাকে।

আপনার যদি ৪কে বা ইউএইচডি টিভি থাকে, তো এটা চিন্তা করবেন না সবকিছুই ৪কে দেখতে পাবেন। এক্ষেত্রেও অবশ্যই আপনার সোর্স থেকে ট্রু ৪কে মিডিয়া প্লে করতে হবে। সোর্সকে ৪কে সমর্থন করতে হবে, মিডিয়া ফাইলটি ৪কে রেকোর্ডেড এবং এনকোডেড থাকতে হবে, লসি কমপ্রেশনে কখনোই ট্রু ৪কে ফিল পাবেন না, অবশ্যই ট্রু ৪কে অভিজ্ঞতা পাওয়ার জন্য লসলেস ফরম্যাট মিডিয়া প্লে করতে হবে।

স্যারাউন্ড সাউন্ড

 

আরেকটি টার্ম, যেটা হোম থিয়েটার সিস্টেম’কে এতোটা স্পেশাল বানায়, তা হচ্ছে স্যারাউন্ড সাউন্ড সিস্টেম। স্যারাউন্ড সাউন্ড স্ট্যান্ডার্ড, ২.০, ২.১, ৫.১, ৬.১, ৭.১ সাউন্ড সিস্টেম, ডলবি ডিজিটাল, ডিটিএস, টিএইচএক্স – সিস্টেম নিয়ে আগে থেকেই আমার বিস্তারিত লেখা আর্টিকেল রয়েছে, আমি রেকমেন্ড করবো অবশ্যই সেটা পড়ে নিন। যাই হোক, যদিও আগেই এই ব্যাপারে কোনা কোনা কভার করে আর্টিকেল লিখেছি, কিন্তু তারপরেও এই আর্টিকেলকে সমৃদ্ধ করার জন্য স্যারাউন্ড সাউন্ড সিস্টেম সম্পর্কে কিছু আলোচনা করলাম!

স্যারাউন্ড সাউন্ড সিস্টেমে মূলত একসাথে অনেক টাইপের স্পীকার, স্পেশাল অ্যামপ্লিফায়ার, রিসিভার ব্যবহার করে সোর্স ম্যাটেরিয়াল অনুসারে সাউন্ডকে বিভিন্ন দিক থেকে জেনারেট করে লিসেনারের কাছে পৌছিয়ে দেওয়া হয়, এতে মুভি দেখার সময় বা ভিডিও উপভোগ করার সময় সবচাইতে বেস্ট এক্সপেরিয়েন্স পাওয়া সম্ভব। আপনার চারপাশে বিভিন্ন দূরতে বিভিন্ন স্পীকার লাগানো থাকে, এখন মনে করুণ আপনি টিভি’তে দেখছেন বামপাশ দিয়ে একটি কার এবং দানপাশ দিয়ে একটি ট্রেন যাচ্ছে, তো আপনার স্যারাউন্ড সাউন্ড সিস্টেমে বাম স্পীকার গুলো থেকে কারের সাউন্ড এবং দান স্পীকার গুলো থেকে ট্রেনের সাউন্ড পাবেন। এই অডিও সিস্টেমে অনেক অ্যাডভানস অডিও টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়, স্পীকার গুলোতে আলাদা আলাদা অডিও চ্যানেল ব্যবহার করা হয়। এজন্য একেক স্পীকার একেক টাইপের সাউন্ড জেনারেট করে।

স্যারাউন্ড সাউন্ড উপভোগ করার জন্য আপনার হোম থিয়েটার রিসিভারের অন্তত ৫.১ চ্যানেল স্পীকার সমর্থন করার ক্ষমতা থাকতে হবে। যাই হোক, আপনার অডিও সিস্টেমে হয়তো ৫টি স্পীকার রয়েছে, কিন্তু এর মানে কিন্তু এটা নয় আপনার অডিও সিস্টেম ৫.১, বুঝলেন? কতোগুলো স্পীকার লাগানো রয়েছে সেটা কোন ব্যাপার নয়, আপনি মনো অডিও সিস্টেমে ১০টি স্পীকার লাগাতে পারেন, কিন্তু এখানে ১০টি স্পীকারই একই অডিও আউটপুট প্রদান করবে। ২.১ সিস্টেমে ৩টি অডিও চ্যানেল থাকে, একটি লেফট এবং আরেকটি রাইট, এবং একটি সাব-ওয়াফার। এখন আপনি যদি এখানে ১০টিও স্পীকার লাগিয়ে দেন, তো সাব-ওয়াফার বাদে ২টির বেশি আলাদা অডিও প্রভাইড করতে পারবেন না। যদি আলাদা আলাদা স্পীকার থেকে আলাদা আলাদা অডিও আউটপুট পেতে চান, তো সেক্ষেত্রে অবশ্যই আলাদা আলাদা অডিও চ্যানেল থাকতে হবে। ৫.১ সিস্টেমে ৬টি অডিও চ্যানেল থাকে, ৫টি স্পীকার এবং একটি সাব-ওয়াফার। তো এখানে ৫টি স্পীকার থেকে আপনি আলাদা আলাদা সাউন্ড আউটপুট পাবেন।

যেমন এইচডি টিভি’র মতো অবশ্যই সোর্সও এইচডি হতে হয়, তবেই ট্রু এইচডি দেখতে পাওয়া যাবে। এই স্যারাউন্ড অডিও’র ক্ষেত্রেও ঠিক তাই। অবশ্যই রিসিভারের আলাদা চ্যানেল সাপোর্ট করার ক্ষমতা থাকতে হবে, সাথে আপনার প্রপার ৫.১ বা ৭.১ স্পীকার সেটআপ থাকতে হবে এবং সোর্স অডিও অবশ্যই ৫.১ হিসেবে রেকর্ডেড থাকতে হবে। এখানেও অডিও এনকোডিং এর ব্যাপার রয়েছে। অডিওটি অবশ্যই ৫.১ সিস্টেমে এনকোডেড থাকতে হবে সাথে লসলেস কমপ্রেশনের ক্ষেত্রে আপনি ততোই বেশি কোয়ালিটি অডিও অনুভব করতে পারবেন। তবে লসলেস কমপ্রেশনে যেমন কোয়ালিটি পাবেন, ঠিক সেটার জন্য তেমনই স্টোরেজ দরকার হবে। ডিভিডি’তে লসলেস অডিও, ভিডিও আঁটে না, তাই অবশ্যই আপনার ব্লুরে প্লেয়ার থাকতে হবে, অথবা মিডিয়া সার্ভারে কয়েক টেরাবাইট স্পেস!

কতো টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে হবে?

এবার প্রসঙ্গে আসি, একটি প্রপার হোম থিয়েটার সিস্টেম সেটআপ করতে কতো টাকা পর্যন্ত ব্যয় করা যুক্তিযোগ্য? দেখুন, যেমনটা আগেই বলেছি, হোম থিয়েটার মানেই কিন্তু আলট্রা-দামী সবকিছু থাকতে হবে, সেটা কোথাও লেখা নেই। আপনি কমদামি সেটআপ দিয়েও প্রপার হোম থিয়েটার বানাতে পারবেন, আর বিশ্বাস করুণ সেটার নাম হোম থিয়েটার‘ই হবে, অন্য কিছু নয়! যদি আপনার কাছে অলরেডি অনেক কিছু থাকে, তো আপনার অনেক খরচ কমে যাবে। যেমন অবশ্যই আগে থেকেই আপনার কাছে এইচডি এলইডি/এলসিডি টিভি রয়েছে, অথবা হয়তো আগে থেকেই আপনার কাছে ৫.১ স্পীকার রয়েছে; তো হোম থিয়েটার সেটআপ করা ব্যাস আর কয়েক স্টেপের কাজ। যদি আপনাকে সবকিছু প্রথম থেকে কিনতে হয়, সেক্ষেত্রে একটু বেশি টাকা লাগতে পারে, তবে সস্তা বলেও একটি অপশন রয়েছে!

চলুন হোম থিয়েটার সেটআপ করার জন্য মিনিম্যাম রিকোয়ারমেন্ট দেখে নেওয়া যাক;

  1. একটি এইচডি টিভি বা মনিটর বা ভিডিও ডিসপ্লে, যেটা এলইডি/এলসিডি প্যানেলের। অথবা একটি ভিডিও প্রজেক্টর হলেও চলবে!
  2. একটি ডিভিডি বা ব্লুরে প্লেয়ার। তবে আমি রেকমেন্ড করবো কমপক্ষে একটি এইচডি ডিভিডি, যদি সম্ভব হয় একটি আলট্রা এইচডি ব্লুরে প্লেয়ার বেস্ট হবে!
  3. সাউন্ডবার, হোম থিয়েটার রিসিভার, স্যারাউন্ড সাউন্ড সিস্টেম; এই সবগুলকে একসাথে মিশিয়ে অডিও ইফেক্ট তৈরি করার প্রয়োজন পড়বে।
  4. যদি আপনার কাছে সাউন্ডবার, হোম থিয়েটার রিসিভার, বা স্যারাউন্ড সিস্টেম অডিও সেটআপ না থাকে, তো সাধারণ লাউড স্পীকার দিয়েও কাজ চালিয়ে নিতে পারেন। যদি আগে থেকেই কোন ২.১ সিস্টেম থাকে সেটাকেও ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে আরো স্পীকার যোগ করে দিতে পারেন, যদিও সেখানে স্যারাউন্ড কোয়ালিটি পাবেন না, তারপরেও লিসেনিং এক্সপেরিএন্স অনেকটা পালটে যাবে।
  5. প্রয়োজনীয় ক্যাবল এবং কানেকশন।
  6. একটি পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ডিভাইজ, যেটা উঠানামা করা ভোল্টেজ থেকে আপনার সিস্টেমকে রক্ষা করবে।

এখন যদি কথা বলি এইচডি টিভি নিয়ে, তো বাজারে ২০-২৫ হাজারের মধ্যেই ৩০-৩২ ইঞ্চি এইচডি এলইডি টিভি পাওয়া সম্ভব। আর আজকের টিভি গুলোতে বিল্ডইন ইউএসবি ফিচার দেওয়া থাকে, যেখানে আপনি হার্ড ড্রাইভ এট্যাচ করতে পারবেন ফলে আলাদা মিডিয়া প্লেয়ারের প্রয়োজন পড়বে না। তবে একটি ইউএইচডি ব্লুরে প্লেয়ার বেটার চয়েজ হতে পারে। বেসিক সাউন্ড সিস্টেম আর হোম থিয়েটার রিসিভার মোটামুটি ১৫-২০ হাজারের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। ডিভিডি প্লেয়ার বা ব্লুরে প্লেয়ার গুলোর দাম অনেকটা কম, এভারেজ টাইপের প্লেয়ার কিনতে ৫-৬ হাজার টাকা লাগতে পারে, হাই এন্ড প্লেয়ার গুলোতে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ পড়তে পারে। মানে ৫০-৬০ হাজার টাকার মধ্যে আপনি একটি প্রপার হোম থিয়েটার সেটআপ করে ফেলতে পারবেন, এতে কোন সন্দেহ নেই। কি? বলেছিলাম না, লাখো টাকার কোন দরকার নাই!


তো ব্যাস এই ছিল আজকের আর্টিকেল! আশা করছি হোম থিয়েটার সিস্টেম সম্পর্কে সকল বিষয় গুলো এখন আপনার জন্য পান্তা ভাত! যদি আরো বিস্তারিত আর্টিকেল চান, যেমন, কোন ব্র্যান্ডের টিভি, কোন মডেলের স্পীকার, স্পীকার টিভি কিভাবে সেটাপ করতে হবে, তো আমাকে নিচে টিউমেন্ট করে জানাতে পারেন, আমি আপনাদের জন্য আর্টিকেল লিখে ফেলবো।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button