আর্টিকেল

সহমর্মিতা কাকে বলে? সহমর্মিতা ও সহযোগিতার মধ্যে পার্থক্য কি?

মানুষকে প্রাত্যহিক ও সামাজিক জীবনে, শিক্ষাক্ষেত্রে কিংবা কর্মক্ষেত্রে নানা রকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। কখনো তার বিপদ আসে, কখনো তার মধ্যে অতিরিক্ত চাপ তৈরি হয় তখন মানুষ মানসিকভাবে বিপর্যস্তবোধ করে, বিষণ্ন থাকে কিংবা নানা দুঃখ-কষ্টে ভোগে। এমন অবস্থায় এ ধরনের মানুষের সাথে মানসিকভাবে একাত্ম হওয়াকে সহমর্মিতা বলে।

দুঃখী, বিপদগ্রস্ত, রোগাক্রান্ত কিংবা বিপন্ন-বিষণ্ন মানুষের বেদনা, মনোকষ্ট উপলব্ধি করে তাদের সাথে একাত্ম ও সমব্যথী হওয়াই সহমর্মিতা। অন্যভাবে বলতে গেলে সহমর্মিতা বলতে মানুষের সকল যন্ত্রণা, কষ্ট, পীড়ন ও বিষণ্নতাকে নিজের অনুভূতিতে স্থান দিয়ে সে অনুযায়ী আচরণ করাকে বোঝায়। হৃদয়ের গভীরতম অংশ থেকে উৎসারিত অনুভূতিই সহমর্মিতা।

সহমর্মিতার গুরুত্ব

মানুষের দুঃখ কষ্টে সমব্যথী হওয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সহমর্মিতা পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

পরিবারে বা সমাজের অন্য মানুষের বিপদে-আপদে সমব্যথী হলে এবং সহমর্মিতা প্রদর্শন করলে পারস্পরিক সহযোগিতার দ্বার উন্মোচিত হয়। মানুষ একে অপরের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় এবং পরস্পর পরস্পরের যেকোনো ধরনের সমস্যায় এগিয়ে আসে। সমাজের সব সদস্য যদি একে অপরের সমস্যায় এগিয়ে আসে তাহলে তাদের মধ্যে আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটবে। সমাজের সব সদস্য যখন একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে তখন তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার হবে এবং যেকোনো সমস্যা সমাধান করতে পারবে।

সহমর্মিতা ও সহযোগিতার মধ্যে পার্থক্য

সহমর্মিতা ও সহযোগিতা আপাত দৃষ্টিতে এক মনে হলেও এ দুয়ের মধ্যে সুনির্দিষ্ট কিছু পার্থক্য রয়েছে।

সহমর্মিতা

  • ইন্দ্রিয়জাত অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যম যা মনের ভাবনাকে প্রকাশ করে।
  • সমবেদনা প্রকাশ করা হয়, সমব্যথী হয়।
  • আচরণিক সম্পর্ক জোরদার করে।
  • প্রতিদানের দরকার হয় না।

সহযোগিতা

  • অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যমে করা যায় না বরং দৃষ্টিগ্রাহ্য কোনো বৈষয়িক বস্তুর অস্তিত্ব থাকে।
  • দুঃখ-কষ্ট লাঘব করতে ভূমিকা রাখে।
  • ব্যবহারিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পায়।
  • প্রতিদানের সুযোগ আছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button