Technology

তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগে আরও ১৫ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ

তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগে আরও ১৫ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ

তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ বাস্তবায়নে আরও ১৫ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। এর আগে পরিশোধ করা হয়েছিল ১৭ মিলিয়ন ডলার। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এ কথা জানান।

সোমবার (৮ আগস্ট) তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত এক পর্যালোচনায় অংশ নেন মন্ত্রী। সেখানে তিনি এ তথ্য দেন।

মন্ত্রী বলেন, দেশের ইন্টারনেট ব্যবস্থা নিরবচ্ছিন্ন করতে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সি-মি-উই-৬ কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড মেইটেনেন্স অ্যাগ্রিমেন্ট এবং কনসোর্টিয়ামের সরবরাহকারীদের সঙ্গে গত বছরের সেপ্টেম্বরে চুক্তি হয়।

তিনি আরও বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এই সপ্তাহে ১৫ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭ মিলিয়ন ডলার সোনালী ব্যাঙ্কে পাঠানোর জন্য জমা দেওয়া আছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জানান, ১৩২০০ জিবিপিএস ব‌্যান্ডউথের জন‌্য সংশোধিত চুক্তি অনুযায়ী সিমিইউ -৬ কনসসোর্টিয়ামকে মোট ৯৪৬ দশমিক ২৪ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে। তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সক্ষমতা দ্বিগুণ করা হলেও ব্যয় অর্ধেকেরও কম বাড়বে।

বর্তমানে সাউথ ইস্ট এশিয়া-মিডল ইস্ট-ওয়েস্টার্ন ইউরোপ-৪ এবং সাউথইস্ট এশিয়া-মিডল ইস্ট-ওয়েস্টার্ন ইউরোপ-৫ নামক দুটি সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে যুক্ত রয়েছে বাংলাদেশ।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে সুখী-সমৃদ্ধ করতে এই ডিজিটাল সংযুক্তির কোনো বিকল্প নেই। সাবমেরিন ক্যাবল সংযুক্তি হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তির হাইওয়ে।

মোস্তাফা জব্বার জানান, ২০০৮ সালের ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশে সাবমেরিন ক‌্যাবলের বাণিজ্যিক পরিচালনা শুরু হয়। ২০০৮ সালে ব‌্যান্ডউথ ক‌্যাপাসিটি ছিল ৪৪ দশমিক ৪৬ জিবিপিএস। ২০১৮ সাল পর্যন্ত ব‌্যান্ডউথ ক‌্যাপাসিটি ১৮০০ জিবিপিএস এ উন্নীত হয়। ২০২২ সালে তা ৩৩৭০ জিবিপিএস-এ উন্নীত হয়েছে। এর মধ‌্যে ২০০৯ সালে ব‌্যান্ডউথ ব‌্যবহৃত হয় ১০ জিবিপিএস এবং ২০১৮ সাল পর্যন্ত তা বেড়ে ৬১৮ জিবিপিএসে উন্নীত হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button