Technology

যে অসাধারণ প্রযুক্তি গুলো আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পরিবর্তন করে দিয়েছে!

যে অসাধারণ প্রযুক্তি গুলো আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পরিবর্তন করে দিয়েছে!

আজকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি আমাদের সাথে কিভাবে জড়িত রয়েছে বা এতে আমরা কতোটা আসক্ত—সেটা বোঝার জন্য জাস্ট কল্পনা করুণ, আপনি ২০১৭ সালেই রয়েছেন কিন্তু আপনার আশেপাশে কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইজ নেই, না আছে ইন্টারনেট, আর নাইবা আছে সামান্য রেডিও; দেখবেন কল্পনা করতেই দমবন্ধ হয়ে আসবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিনিয়তই আমাদের জীবনের মান উন্নয়নে কাজ করে চলছে, কিন্তু অলরেডি আমাদের কাছে এমন কিছু প্রযুক্তি রয়েছে যেগুলো শুধু আজকের জন্য নয়, ভবিষ্যতেরও মান এখনই বদলে দিয়েছে। এই আর্টিকেলে সেই প্রযুক্তি গুলোর উপরই আলোকপাত করার চেষ্টা করবো…

এই আর্টিকেলের বিষয়বস্তু সমূহ

ইন্টারনেট

নিঃসন্দেহে বলার কোন প্রয়োজনই নেই, এই ইন্টারনেট কিভাবে আমাদের জীবনের অর্থ বদলীয়ে দিয়েছে। আজ ওয়্যারবিডি থেকে এই অসাধারণ আর্টিকেলটি উপভোগ করতে পাড়ছেন, তো কেবল ইন্টারনেটের বদৌলতে। সমস্ত পৃথিবী জুড়ে কোটি কম্পিউটার এক সাথে একই সূত্রে কাজ করে আপনাকে অনলাইন চ্যাট, ইমেইল সেন্ড, ওয়েবসাইট ভিজিট, ভিডিও প্লে, আর না জানি কতো সুবিধা প্রদান করছে।

আজকের যতোগুলো ডিভাজের নামের পেছনে “স্মার্ট” এইকথা গুলো যুক্ত করা হয়েছে, প্রায় সব ডিভাইজ এই ইন্টারনেট ছাড়া সম্পূর্ণ অচল। প্রথমে শুধু ওয়েবসাইট ভিজিট করা আর যোগাযোগ করার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহৃত হলেও, বর্তমানে এর ব্যবহার সব কিছুর সীমা ছাড়িয়ে গেছে। ইন্টারনেট ছাড়া কম্পিউটিং চিন্তাই করা যায় না। সামনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ডিএনএ স্টোরেজ, সেলফ ড্রাইভিং কার ইত্যাদি টেক গুলোকে কখনোই কল্পনা করা সম্ভব হতো না যদি ইন্টারনেট না থাকতো। ভার্চুয়ালি প্রায় যেকোনো যাক, যে কাজ ডিজিটাল ডাটা আদান প্রদান করার মাধ্যমে করা হয়, প্রত্যেকটি কাজ ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা সম্ভব। ইন্টারনেটের বদৌলতে আজ মানুষের ঘরই অফিসে পরিনত হয়ে গেছে। দুনিয়ার যেকোনো খবর পাওয়া তো জাস্ট দুই এক ক্লিকের ব্যাপার।

অপটিক্যাল ফাইবার

আলো আমাদের প্রান বাঁচাচ্ছে, আমাদের শক্তি আর সাহস সঞ্চার করছে, সাথে বর্তমানে টেক’কে কাজে লাগিয়ে আমরা আলোর মাধ্যমে ডিজিটাল ডাটা পরিবহন করছি। চিন্তা করে দেখছেন, যে আলোকে আমরা পথ দেখার কাজে ব্যবহার করি, যেটা টেক এর বদৌলতে আজ কল, মিউজিক, ভিডিও, ইমেইল চ্যাট, ছবি বহন করে নিয়ে আসছে। আজকাল ইন্টারনেট কানেক্ট করার জন্য ফাইবার অপটিক ক্যাবল বহুল ভাবে ব্যবহৃত হয়। যেটা মূলত একটি কাঁচের নলের স্তরে গঠিত।

আমরা জানি, আলো সর্বদা সমান্তরাল পথে গমন করে, কিন্তু এখানে আলোর রিফ্লেকশন ধর্ম এবং আর সেটার উপরই টেক খাটিয়ে আঁকাবাঁকা নলের মধ্য দিয়ে আলোকে বহন করে নিয়ে যাওয়া হয়। আর এই আলোর মধ্যে এনকোড করা থাকে ডিজিটাল ডাটা, যেগুলোকে আবার ট্রান্সলেট করে আসল ডাটাতে ফেরত নিয়ে আনা হয়। ফাইবার অপটিক ক্যাবল বর্তমানে কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং, ব্রডকাস্টিং, মেডিক্যাল স্ক্যানিং, এবং মিলিটারি উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

৩ডি প্রিন্টিং

কল্পনা করে দেখেছেন ৩ডি প্রিন্টারের ক্ষমতা? কোন মডেল যতোই জটিল কারুকার্য দ্বারা গঠিত হোক না কেন, চোখের পলকেই ৩ডি প্রিন্টার আর হুবহু অবজেক্ট বানিয়ে ফেলতে সক্ষম। আপনি কতবড় উচ্চতার অবজেক্ট প্রিন্ট করতে চান তার হিসেবে বিভিন্ন সাইজের প্রিন্টার ব্যবহার করতে পারেন। থ্রীডি প্রিন্টারে কোন অবজেক্ট লেয়ার বাই লেয়ার প্রিন্ট করা হয়ে থাকে। শুধু আপনার চোখের সামনের ফিজিক্যাল অবজেক্টের কপি নয়, বরং ভার্চুয়াল ভাবে ৩ডি সফটওয়্যার ব্যবহার করে যেকোনো ডিজাইন করার অবজেক্ট আজ চোখের পলকেই ব্যস্তব রুপ ধারণ করে ফেলে। কম্পিউটার স্ক্রীনে কিছু কল্পনার জিনিষ আঁকা এক আলাদা ব্যাপার, কিন্তু চিন্তা করে দেখুন, আপনার কল্পনার অবজেক্টকে আপনি হাতে স্পর্শ করতে পাড়ছেন, সেটাকে ছুঁতে পাড়ছেন, অনুভব করতে পাড়ছেন। আপনার ভবিষ্যৎ মডেল করা বাড়ি এখনই তৈরি হয়ে যাবে, আপনি সম্পূর্ণ ধারণা নিতে পারবেন।

শুধু তাই নয়, ভবিষ্যৎ কোন ডিভাইজ তৈরি করার আগেই সেটাকে ফিজিক্যাল ভাবে দেখতে পাড়ছেন। যেকোনো প্রডাক্টের প্রোটোটাইপ তৈরি করতে পাড়ছেন। এমনকি আপনি নিজেরও কপি বানিয়ে ফেলতে পারেন এই ৩ডি প্রিন্টারের সাহায্যে। যা বিভিন্ন প্রোজেক্ট নিয়ে কাজ করেন, ৩ডি প্রিন্টার তাদের কাজে যুক্ত করে দিয়েছে এক আরেক লেভেল। আজকাল জুতা থেকে শুরু করে গহনা, আর বিভিন্ন অলংকার তৈরি করার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ৩ডি প্রিন্টার। এর সবচাইতে বড় ব্যাপার হলো, চিন্তা করে দেখুন কতো অল্প সময়ের মধ্যে এটি কতো অসাধারণ অবজেক্ট গুলোকে তৈরি করতে পারে।

ট্রানজিস্টর

আজকের মডার্ন কম্পিউটার গুলোর এতো ছোট সাইজ কে প্রদান করেছে। অবশ্যই এই ট্রানজিস্টর, একে আপনি সুইচের সাথে তুলনা করতে পারেন। একটি কম্পিউটার প্রসেসর এবং মেমোরিতে লাখো কোটি বিটস সংরক্ষিত করার প্রয়োজন হয়, আর প্রত্যেকটি বিট সংরক্ষন করে প্রত্যেকটি সুইচ।

চিন্তা করে দেখেছেন, একটি কম্পিউটারে লাখো সুইচ আটাতে চাইলে সেটার সাইজ কতো বড় হয়ে যাবে? সৌভাগ্য বসত আমাদের কাছে এই ন্যানোমিটার আকারের সুইচ রয়েছে, যেটার হাতের তালুর চেয়েও কম সাইজে কোটি সুইচ এঁটে যাচ্ছে। ট্রানজিস্টর গুলোকে দিন দিন আরো ছোট আকারের করা হচ্ছে, এতে কম্পিউটারের প্রসেসিং পাওয়ার আরো বেড়ে যাচ্ছে আরো বেশি সুইচ অ্যাড করা হচ্ছে ফলে আরো পাওয়ারফুল কম্পিউটার আমাদের সামনে চলে আসছে। আজকে আপনার হাতের স্মার্টফোনের সাইজ এতো ছোট আর এতো শক্তিশালী এর জন্য শুধু মাত্র দায়ী এই ট্রানজিস্টর।

দ্যা ইন্টারনেট অফ থিংগস

ইন্টারনেট নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। এথেকে কি করা সম্ভব সেটার সম্পর্কে আপনার নিশ্চয় ধারণা রয়েছে। কিন্তু আমাদের ধারনার চাইতেও ইন্টারনেট থেকে বেশি কিছু করা সম্ভব। আগেই বলেই কোন কাজ যদি ডিজিটাল ডাটা সেন্ড রিসিভ করে করা সম্ভব হয় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সেই কাজ ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা সম্ভব হবে। অবশ্যই প্রত্যেকটি ইলেকট্রনিক ডিভাইজ ডিজিটাল ফরম্যাটের উপর কাজ করে, তাহলে প্রত্যেকটি ডিভাইজকে ভার্চুয়ালি ইন্টারনেটে কানেক্টেড করে দিলে কেমন হয়? আর এই ধারণা থেকেই দ্যা ইন্টারনেট অফ থিংগস ধারনার সৃষ্টি।

প্রত্যেকটি স্মার্ট ডিভাইজ তাদের নিজেদের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করে কানেক্টেড থাকবে, আপনার স্মার্ট ফোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে চেক করে দেখবে আপনি কোথায় রয়েছেন। আপনি যদি বাড়িতে না থাকেন তো বাড়ির আলো, টিভি, ফ্যান, সব কিছুই স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। বাড়িতে কেউ ঢুকে গেলে সেটা আপনার বাড়ির সিকিউরিটি সিস্টেম আপনাকে আলার্ট প্রদান করবে। তাছাড়া অফিসে বসেই চুলার রান্না অফ করে দিতে পারবেন, বা স্মার্ট ফোন থেকে কম্যান্ড নিয়ে আপনার গাড়ি বাড়ির গ্যারেজ থেকে আপনাকে নিতে চলে আসবে তাও আবার বিনা ড্রাইভারে। দ্যা ইন্টারনেট অফ থিংগস এমন এক ধারণা যার মাধ্যমে ডিভাইজ গুলো ব্যাস্তব বুদ্ধি সম্পূর্ণ হয়ে উঠবে।

সোলার সেল

আগের দিনে কখনো কি কেউ ভাবতে পেরেছিল, সূর্যের আলো থেকে রাতের বাতি, ফ্যান, টিভি ইত্যাদি চালানো সম্ভব হবে? সূর্য সব চাইতে বড় শক্তির উৎস, সূর্যের কারণে সম্পূর্ণ প্রানি জগত বেঁচে রয়েছে, কিন্তু টেক সূর্য থেকে আরো কাজ বেড় করে ফেলেছে। সোলার সেল বা সৌর বিদ্যুৎ হলো সেই টেক যেটা সূর্য থেকে আমাদের পৌছিয়ে দিচ্ছে অফুরন্ত এনার্জি।

শুধু দিনের বেলার নয়, সূর্য থেকে পাওয়ার নিয়ে চার্জ করে রাখা হচ্ছে ব্যাটারি, যাতে রাতের বেলাতেও এনার্জি পাওয়া যেতে পারে। যদি সোলার না থাকতো, তো আকাশের উপরের ঘুরে বেড়ানো স্যাটেলাইটকে কিভাবে বিদ্যুৎ সঞ্চার করা যেতো? সেখানে তো আর জেনারেটর লাগানো যাবে না, তাই না? সাথে বর্তমানে এই টেক অনেক বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করছে। বাড়ি থেকে শুরু করে গাড়ি পর্যন্ত এই সেল লাগিয়ে এনার্জি সরবরাহ করা হচ্ছে। সবচাইতে ভালো দিক হচ্ছে এটা ১০০% পরিবেশ বান্ধব আর সাথে অফুরন্ত এনার্জি।

স্যাটেলাইট

আজকের বিশ্বকে এতোটা উন্নত কে করে দিয়েছে। এক প্রান্তে বসে থেকে আরেক প্রান্তের লাইভ ফুটেজ কিভাবে পাওয়া যাচ্ছে? আপনার স্মার্ট কার বা স্মার্ট ফোন কিভাবে আপনার লোকেশন প্রদর্শন করছে? কিভাবে নেটওয়ার্ক না থাকা শর্তেও পাহাড়ি এলাকাতে মোবাইল কল সম্ভব হচ্ছে? এক বছরের আবহাওয়া খবর আগেই কিভাবে পাওয়া যাচ্ছে? এই সব প্রশ্নের একটিই উত্তর “স্যাটেলাইট” – যেটার আবিষ্কার নাটকীয় ভাবে বদলীয়ে দিয়েছে আমাদের জীবন যাত্রার মান।

 

আজ আমরা আমাদের গ্রহের যেকোনো স্থানে মুহূর্তের মধ্যে নজরদারি করতে পারি। যে দৃশ্য গুলো কখনোই দেখা সম্ভব হতো না, স্যাটেলাইট সেগুলো আমাদের দেখাতে সাহায্য করেছে। আমরা আমাদের গ্রহে বসে ভিন গ্রহের উপরও নজর রাখতে পারছি। মুহূর্তের মধ্যেই মহাকাশের দূরত্ব মেপে ফেলছি। মহাকাশে বহু টাইপের স্যাটেলাইট রয়েছে, এদের একেক জনের কাজ একেক রকম। ইন্টারনেট, টিভি ব্রডকাস্ট, আবহাওয়া পূর্বাভাস, জিপিএস, বা যেকোনো সিগন্যালকে পৃথিবী থেকে ক্যাচ করে আবার পৃথিবীর আরেক প্রান্তে পৌছিয়ে দেওয়ার কাজ এই স্যাটেলাইট গুলো অক্লান্ত ভাবে করেই চলেছে। স্যাটেলাইট আমাদের হাতে এনে দিয়েছে এক অন্য ধরণের ক্ষমতা, যেটা আমরা আগে কল্পনাও করতে পারতাম না।

এন্টেনা এবং ট্রান্সমিটার

আপনি ফোনে কথা বলছেন, কম্পিউটার ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন, অনেক ফটো আপলোড করছেন, ভিডিও ডাউনলোড করছেন, কিন্তু ভেবে দেখেছেন সেগুলো কিভাবে সম্ভব হচ্ছে? সমস্ত সিগন্যাল গুলো বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে, আর এন্টেনা সেগুলোকে ক্যাচ করে ইন্টারনেট ডাটা, ছবি, মিউজিক, ভিডিও তে রুপান্তরিত করছে। আপনি ফোনে কথা বলছেন সেটা সেলফোন কোম্পানির ট্রান্সমিটার এন্টেনা ব্যবহার করে।

 

এন্টেনা এবং ট্রান্সমিটার একই টাইপের কাজ করে, শুধু একজন সিগন্যাল সেন্ড করে আর আরেকজন সেই সিগন্যালকে রিসিভ করে আসল ডাটাতে পরিনত করে। এন্টেনা না থাকলে পৃথিবীর কোন কমিউনিকেশন সিস্টেম কাজ করতো না। লাখো কোটি দূর থেকে কখনোই কথা বলা যেতো না, টিভি তো কল্পনাও করতে পারতেন না। তাই এই এন্টেনা এবং ট্রান্সমিটার কে সকল কমিউনিকেশনের ভিত্তি বলতে পারেন, যেটা প্রযুক্তি আমাদের উপহার দিয়েছে।

রাডার

অন্ধকার আর নির্জন পরিবেশে আমাদের চোখ কিছুই দেখতে পারে না। এমনকি অত্যাধুনিক ক্যামেরা গুলোও একটি রেঞ্জ রয়েছে দৃষ্টি শক্তির। তাহলে একেবারেই অন্ধকার আর হাজার মেইল দুরের অবজেক্ট গুলোকে আমরা কিভাবে দেখতে পাই? এই ক্ষেত্রে টেক আমাদের সামনে এনে দিয়েছে রাডার, যেটার দৃষ্টি থেকে বেঁচে পালানো অনেক কঠিন ব্যাপার।

উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে এটি যেকোনো সাইজের দুরের অবজেক্টকে আমাদের দেখতে দিতে সাহায্য করে। আর এই টেক আমাদের মাঝে থাকার ফলেই শত্রু বাহিনি বা শত্রু দেশ আচানক হামলা করতে পারে না। ঘন কুয়াশা, রাত আর দিন কিছুই আটকাতে পারে না এই সিস্টেমকে কোন অবজেক্ট ডিটেক্ট করার হাত থেকে। রাডার থেকে ছড়িয়ে পড়া রেডিও তরঙ্গ আলোর গতিতে ছুটে চলে যেকোনো অবজেক্টের পিছু করতে সক্ষম। চিন্তা করে দেখেছেন, এই প্রযুক্তি আমাদের এক মহাশক্তিশালী চোখ আর আলো গতি প্রদান করেছে।

আরো বিস্তারিত জানুন, রাডার কিভাবে কাজ করে? কিভাবে রাডারের চোখকে ফাঁকি দেওয়া সম্ভব!

সুপার কম্পিউটার

এক সময় বড় বড় কম্পিউটারবীদ’রা মন্তব্য করতেন, কম্পিউটারের কখনোই হোম ইউজের প্রয়োজন পড়বে না। কিন্তু আজ সেই কম্পিউটার আমাদের প্রত্যেকের পকেটে পকেটে। পেছনের কয়েক বছরে কম্পিউটিং প্রযুক্তিতে এতো পরিবর্তন আনা হয়েছে, যে আমরা তৈরি করে ফেলেছি এক মহা শক্তিশালী কম্পিউটার, যেটা যতোবড়ই ক্যাল্কুলেসন হোক না কেন তা নিমিষেই সমাধান করে ফেলবে।

সুপার কম্পিউটার গুলো আমাদের সাধারণ কম্পিউটার থেকে লাখো কোটি গুন বেশি ফাস্ট এবং বেশি কাজ করতে পারে। এর প্রসেসিং সিস্টেমই সম্পূর্ণ আলাদা। এতে বহুবড় আকারের প্রসেসর, র‍্যাম, আর পাওয়ার ব্যবহার করা হয়, যাতে এর থেকে দৈত্যাকার কম্পিউটিং পাওয়ার পাওয়া সম্ভব হয়। বিজ্ঞানের জটিল হিসাব নিকাশ, আবহাওয়া পূর্বাভাস কালেক্ট, এনক্রিপশন তৈরি সহ আরো অসাধারণ সব কাজ এই সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করে করা সম্ভব। সামনে টেক আমাদের এনে দিতে চলেছে কোয়ান্টাম কম্পিউটার, যেটি সুপার কম্পিউটারের পাওয়ার কেউ হার মানিয়ে দেবে নিঃসন্দেহে।

সুপার কম্পিউটার কি? — এই আর্টিকেলটিতে আরো বিস্তারিত তথ্য রয়েছে!

সেলফোন প্রযুক্তি

আজকের সবচাইতে বহুল ব্যবহৃত টেক ডিভাইজ হলো এই সেলফোন, এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় আর প্রায় প্রত্যেকের কাছে একটি করে রয়েছে। যোগাযোগ বাবস্থা কখনো এতোটা সহজ হতে পারে, সেলফোন আবিষ্কার না হলে সেটা কল্পনার বাহিরে থাকতো। আজ এই সেলফোনের কারণেই আমাদের মাঝে দূরত্ব কমে গেছে। আপনি পৃথিবীর যেই প্রান্তেই থাকুন না কেন, সেলফোন ব্যবহার করে পৃথিবীর যেকোনো স্থানের খোঁজ খবর নিতে পারবেন।

আগের দিনে সেলফোনের ব্যবহার শুধু কল করা পর্যন্তই সিমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু আজকের সেলফোন, যেগুলোকে স্মার্টফোন বলা হয়, ডিভাইজ গুলো কোন সম্পূর্ণ কম্পিউটারের চেয়ে কম কিছু নয়। আপনি এতে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ইন্সটল করতে পারেন। সাথে ইন্টারনেট, চ্যাট, মেইল সেন্ড করা, ওয়েব ব্রাউজ করা এমনকি আপনার বাড়ির অ্যালার্ম ক্লক আর ফ্ল্যাশ লাইটকেও সেলফোন রিপ্লেস করে দিয়েছে। বর্তমান বিশ্বে কম্পিউটার থেকে সেলফোন ব্যবহার করেই বেশি মানুষ প্রতিনিয়ত ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এমন কি, অফিসের সব কাজও এই সেলফোনে করা সম্ভব, সাথে সেলফোন ব্যবহার করে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব আজকের দিনে।

গ্রাফিন

আপনি যদি এখনো মনে করেন যে হীরা (ডায়মন্ড) পৃথিবীর সবচাইতে শক্তিশালী এবং কঠিন ম্যাটেরিয়াল তবে আপনি একদমই ভুল ভাবছেন। বর্তমানে গ্রাফিন সবচাইতে কঠিন ম্যাটেরিয়াল, হয়তো আজ এর তেমন ব্যবহার নেই, তবে হলফ করে বলতে পারি কাল সম্পূর্ণই থাকবে গ্রাফিনের হাতে।

এটি একটি সিঙ্গেল পেপারের চাইতেও পাতলা ম্যাটেরিয়াল যেটির মাধ্যমে যেকোনো অবজেক্ট তৈরি করা সম্ভব। আর সবচাইতে ভালো কথা হচ্ছে আমরা যে স্টিলকে সবচাইতে শক্তিসালি আর কঠিন ম্যাটেরিয়াল বলে জানি, এই গ্রাফিন সেটার চাইতেও ২০০০ গুন বেশি শক্তিসালি। এর ব্যস্তবিক অনেক ব্যবহার রয়েছে। যদিও বর্তমানে এর ব্যবহার তেমন একটা জনপ্রিয় নয়, কিন্তু ভবিষ্যতে প্রায় যেকোনো কিছুই এর দ্বারা তৈরি করা সম্ভব হবে। একবার চিন্তা করে দেখুন, গ্রাফিনের তৈরি মোবাইল কভারের কথা, যেটি স্পেস থেকে পৃথিবীতে ফেলে দিলেও ভাংবে না।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button