ইনফরমেশন টেকনোলজিতথ্য প্রযুক্তি

ঢাকার বিমানবন্দরে চালু হলো ই-গেট

ঢাকার বিমানবন্দরে নতুন প্রযুক্তি

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চালু হয়েছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ও দ্রুত ইমিগ্রেশস প্রক্রিয়া শেষ করতে ই-গেট (ইলেকট্রনিক গেট)। এর ফলে একজন যাত্রী মাত্র ১৮ সেকেন্ডে নিজেই নিজের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারছেন। বিমানবন্দরের বহির্গমন এলাকায় ১২টি এবং আগমনী এলাকায় ৩টি ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ই-গেটের পুরো প্রকল্পের প্রযুক্তিগত বাস্তবায়ন করেছে একটি জার্মান প্রতিষ্ঠান।

ই-পাসপোর্টধারী একজন ব্যক্তি যখন ই-গেটের কাছে যাবেন, তখন একটি নির্দিষ্ট স্থানে ই-পাসপোর্টটি রাখলে সঙ্গে সঙ্গে গেট খুলে যাবে। নির্দিষ্ট নিয়মে গেটের নিচে দাঁড়ানোর পর ক্যামেরা ছবি তুলে নেবে। এরপর সব ঠিকঠাক থাকলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই যাত্রী ইমিগ্রেশন পেরিয়ে যেতে পারবেন। তবে কেউ যদি ভুল করেন তাহলে লাল বাতি জ্বলে উঠবে। তখন সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সঠিকভাবে ই-পাসপোর্ট ব্যবহারে সহযোগিতা করবেন।

আজ মঙ্গলবার (৭ জুন) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চালু করা হয়েছে ই-গেট। এ কার্যক্রম উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম এবং ই-পাসপোর্ট ইমিগ্রেশন প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাদাত হোসাইন। আর উপস্থিত ছিলেন ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের অতিরিক্ত পরিচালক কর্নেল মো. খালিদ সাইফুল্লাহ, শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম।

ই-গেট ব্যবহারের জন্য আবশ্যই যাত্রীর ই-পাসপোর্ট থাকতে হবে। প্রথমে ই-গেটের প্রবেশ পথে পাসপোর্ট ছবি সম্বলিত স্মার্ট কার্ডের পৃষ্ঠাটি স্ক্যান করতে হবে। সেখানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে আপনার সব তথ্য যাচাই করা হবে। সব তথ্য সঠিক পেলে ই-গেট খুলে যাবে। এরপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফেসিয়াল রিকগনিশনের মাধ্যমে পাসপোর্টের ছবির সঙ্গে আপনার মুখমন্ডল (ফেস) মেলানো হবে। যদি মিলে যায় তাহলে দ্বিতীয় গেট খুলে যাবে। এভাবেই আপনার ইমিগ্রেশন শেষ হবে। কোন কারণে ই-পাসপোর্টের ছবির সঙ্গে আপনার বর্তমান মুখমন্ডলের (ফেস) চেহারা না মিললে ই-গেট ব্যবহার করা যাবে না।

বাংলাদেশে ২০২০ সালে চালু হয় ই-পাসপোর্ট। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশেই প্রথম ই-পাসপোর্ট চালু হয়। এই পাসপোর্টের অন্যতম সুবিধা হচ্ছে ই-গেটের মাধ্যমে কম সময়ে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা যায়।

ই-গেট ব্যবহারের আগে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যাত্রীর ভিসা, টিকিট, লাগেজ এবং পাসপোর্ট চেকিং সম্পন্ন করতে হবে। যাত্রীর ফ্লাইটের তথ্য, শেষ গন্তব্যস্থান, যাত্রা শুরুর স্থান, ভ্রমণের উদ্দেশ্য ও ভিসার তথ্য অবশ্যই ইমিগ্রেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ডাটাবেজে সংরক্ষিত তথ্যের সঙ্গে ই-গেট সিস্টেমে সংরক্ষিত তথ্য যাচাই করতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button