History of Discovery

ঘড়ি কে আবিষ্কার করেন এবং কখন – (Who Invented Watch)

Who Invented Watch

ঘড়ি কে আবিষ্কার করেন ? (Who Invented Watch in Bengali), আজকের আর্টিকেলের বিষয়ে আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করতে চলেছি। 

প্রথম ঘড়ি আবিষ্কার করেন কে, এই বিষয়ে তো আপনারা সম্পূর্ণ তথ্য জেনেই নিবেন তবে এছাড়াও ঘড়ির ইতিহাস বা ঘড়ি আবিষ্কারের ইতিহাস নিয়ে আমরা অন্যান্য আলোচনা গুলো অবশই করবো। 

তবে যদি বর্তমানের সময়ের কথা বলি, তাহলে এখন আমরা ঘড়ি হিসেবে ব্যবহার করছি স্মার্ট ওয়াচ (smartwatch) গুলো।

এই স্মার্ট ওয়াচ গুলোর মাধ্যমে আমরা সময় দেখার সাথে সাথে, ফিটনেস মনিটর, হাঁটাচলা মনিটর, হার্ট রেট ইত্যাদি তথ্য গুলো দেখতে পারি।

এছাড়া, এখনের আধুনিক স্মার্ট ওয়াচ গুলোর মাধ্যমে তো মোবাইলের কল রিসিভ করা এবং এসএমএস দেখা ইত্যাদিও সম্ভব।

এমনিতে smartwatch গুলোর প্রচলন কিছু বছর আগেই শুরু হয়েছে, তবে সময়ে সময়ে এদেরকে উন্নত অবশই করা হচ্ছে।

কিন্তু, বর্তমান সময়েও সেই সাধারণ ঘড়ি যখন আমরা হাতে পরে থাকি তখন সেটার কিন্তু স্মার্ট ওয়াচ এর তুলনায় অধিক দারুন দেখায়।

আজকাল প্রায় প্রত্যেকের ঘরেই আধুনিক ঘড়ি রয়েছে, তবে আপনারা কি জানেন এই আধুনিক ঘড়ি গুলোর শুরু কে করেছিলেন ? যদি না জেনে থাকেন, তাহলে চিন্তা করতে হবেনা। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে সবটা জেনেনিতে পারবেন।

এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদের বলতে চলেছি যে, ঘড়ির আবিষ্কার কে করেছেন ? ঘড়ির আবিষ্কার কখন হয়েছে ? ইত্যাদি এই ধরণের অন্যান্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলোর বিষয়ে।

ঘড়ি মানে কি ? (What Is The Meaning Of Watch)

ঘড়ি হলো এমন এক ধরণের যন্ত্র যেটা আমাদের সঠিক সময় দেখিয়ে থাকে।

এমনিতে ঘড়ি অনেক ধরণের হতে পারে, যেমন –

  • Analog Watch.
  • Digital Watch.
  • Automatic Watch.
  • Chronograph Watch.
  • Diving Watch.
  • Dress Watch.
  • Quartz Watch.
  • Mechanical Watch

যেই ধরণেরই ঘড়ি হোক না কেন, এর মূল উদ্দেশ্য এবং কাজ হলো আমাদের সঠিক সময় দেখানো।

এমনিতে আমরা ঘড়ি বলতে সরাসরি হাতঘড়িকেই (Wrist Watch) মনের মধ্যে চিত্রাঙ্কন করে থাকি।

যদি হাতঘড়ির কথা বলা হয়, তাহলে এটা মূলত একটি পোর্টেবল ডিভাইস (Portable Device) যেটাকে বহন করা এবং ব্যবহার করা অনেক সোজা।

এই ধরণের ঘড়ি গুলোকে আমরা আমাদের হাতের মধ্যে পরে থাকি।

কিছু কিছু লোকেরা রয়েছেন যারা আবার পকেট ওয়াচ (pocket watch) পছন্দ করে থাকেন। আজ থেকে কিছু বছর আগে পর্যন্ত পকেট ওয়াচ গুলোর চাহিদা প্রচুর ছিল বলে বলা যেতে পারে।

মোবাইল এবং স্মার্টফোনের চল চলে আসার পর থেকে পকেট ঘড়ির চাহিদা এবং ব্যবহার অবশই কোমে এসেছে।

তবে যাই বলিনা কেন, সেই পুরোনো সময়ে কিন্তু পকেট ওয়াচ এর গুরুত্ব এবং চাহিদা সাংঘাতিক ছিল।

পকেট ওয়াচ গুলোকে মূলত প্যান্ট এর পকেটে রেখে বহন করা হতো, যখনি সময় দেখার প্রয়োজন মনে হতো সেই ঘড়ি পকেট থেকে বের করে তারপর সময় দেখা হতো।

হাতঘড়ি (Wrist Watch) এক প্রকারের ছোট এনালগ ঘড়ি যেটার মধ্যে এমন এক রশির মতো বানানো থাকে, যেটার ব্যবহার করে আমরা ঘড়িটি হাতে বাঁধতে পারি।

ঘড়ির মধ্যে থাকা এই রশি মূলত প্লাষ্টিক, লেদার, রেকসিন বা স্টিল দিয়ে তৈরি করা হয়।

যদি ঘড়িটি সম্পূর্ণ ম্যাটেল (metal) দিয়ে তৈরি, তাহলে ঘড়িটি হাতে পরার পর ব্রেসলেট এর মতোই দেখাবে।

ঘড়ি হাতে বাধার জন্যে হাত ঘড়ির মধ্যে যেই রশির মতো অংশ রয়েছে, সেটাকে স্ট্রেপ বলে বলা হয়।

এই স্ট্রেপ, হাতের চারপাশে ঘুরিয়ে বাধা হয় এবং একটি কোনায় বা শেষে লক করে দেওয়া হয়।

তাই, এই ধরণের এনালগ ঘড়ি গুলোকে মূলত হাতে পরার জন্যেই ডিজাইন এবং তৈরি করা হয়েছে।

সর্বপ্রথম ঘড়ি কে আবিষ্কার করেন ?

ঘড়ির আবিষ্কার করেছিলেন, Peter Heinlein.

ঘড়ির আবিষ্কার বিশ্বের প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার গুলোর মধ্যে একটি হিসেবে ধরা হয়। এমনিতে smartphone এবং smartwatches গুলো বাজারে প্রবেশ করার পর থেকেই, হাতঘড়ির চাহিদা তুলনামূলক ভাবে কমেই এসেছে।

এখন আর আগের মতো হাতঘড়ির চাহিদা লোকেদের মধ্যে নেই যেমন আগেকার সময়ে ছিল। তবে যদি ঘড়ির আবিষ্কার না করা হতো, তাহলে আমরা কখনোই একেবারে সঠিক সময়ের অনুমান কখনোই করতে পারতামনা। দেখতে গেলে, ঘড়ির আবিষ্কারের শ্রেয় কেবল একজন ব্যক্তিকেই সম্পূর্ণ ভাবে দেওয়া হয়না।

যখন বিশ্বের বিভিন্ন সভ্যতা গুলো একে ওপরের সাথে সংযুক্ত হয়নি তখনো কিন্তু বিজ্ঞানের মধ্যে সময় দেখার বিভিন্ন আলাদা আলাদা নিয়ম অবশই ছিল। কেও কেও বানিয়েছেন জল ঘড়ি আবার কেও কেও বানিয়েছিলেন ডুও ঘড়ি। তবে, যদি আপনারা গুগলের মধ্যে “Who Invented Watch” লিখে search করে থাকেন, তাহলে আপনাকে “Peter Henlein” নামটি দেখানো হবে।

আসলে, পিটার হেনলেইন সেই ব্যক্তি ছিলেন, যাকে ঘড়ি আবিষ্কারের সব থেকে অধিক ক্রেডিট দেওয়া হয়।

পিটার হেনলেইন এবং ঘড়ি আবিষ্কার

পিটার হেনলেইন সেই ব্যক্তি যিনি প্রথম ক্লক ওয়াচ (clock watch) আবিষ্কার করেছিলেন। মনে রাখবেন, পিটার দ্বারা তৈরি সময় দেখার যন্ত্রটিকে clock watch এর নাম দেওয়া হয় এবং এই ওয়াচ একেবারে সঠিক সময় দেখাতে পারতো।

ঘড়িটি এই প্রযুক্তির ব্যবহার করে পরে গিয়ে আরো উন্নত এবং অ্যাডভান্সড ঘড়ি বানানো হয় যেগুলো অধিক ছোট এবং বেশি ভালো ছিল। এখন যদি আপনারা ভাবছেন যে, পিটার এর করা ঘড়ির আবিষ্কার এর আগে লোকেরা সময় দেখতে পারতেননা, তাহলে আপনি ভুল।

এমনিতে বেশিরভাগ লোকেরা সূর্যের অভিমুখ দেখে সময়ের অনুমান লাগাতেন, এবং একেবারে সঠিক সময় জানার জন্যেও লোকেদের কাছে উপায় অবশই ছিল।

ঘড়ির আবিষ্কার কখন হয় ?

পিটার হেনলেইন দ্বারা ক্লক ওয়াচ আবিষ্কার করার আগেও কিন্তু লোকেরা এই ধরণের যন্ত্র ব্যবহার করতেন যার মাধ্যমে সঠিক সময় দেখা সম্ভব ছিল।

তবে, যদি পিটার এর আবিষ্কারের কথা বলা হয়, তাহলে 1505 এ পিটার দ্বারা ক্লক ওয়াচ আবিষ্কার করা হয়। পিটার হেনলেইন দ্বারা করা ক্লক ওয়াচ এর আবিষ্কারের পরেই 1577 সালে Switzerland এর জব বর্গী দ্বারা মিনিটের কাটা থাকা ঘড়ির আবিষ্কার করা হয়।

এর পরে পরেই পকেট ওয়াচ (pocket watch) এর আবিষ্কার হয়ে থাকে এবং প্রায় 1650 সাল থেকেই লোকেরা নিজেদের পকেটে এই পকেট ঘড়ি নিয়ে ঘুরতেন। এবার, সব সময় পকেটে ঘড়ি নিয়ে ঘুরার এই সমস্যা থেকে বের হওয়ার জন্যে ব্লেজ প্যাস্কেল এই ঘড়ি একটি রশির সাহায্যে নিজের হাতে বেঁধে থাকেন। এভাবেই রিস্ট ওয়াচ (wrist watch) এর শুরু হয়ে থাকে।

এর পর, Steve Mann দ্বারা 1988 সালে প্রথম লিনাক্স স্মার্টওয়াচ আবিষ্কার করা হলো।

পেন্ডুলাম ঘড়ির আবিষ্কার কে এবং কখন করেন ?

পেন্ডুলাম ঘড়ির আবিষ্কার শন 1656 এ করা হয়ে থাকে Christiaan Huygens দ্বারা।

ঘড়ি আবিষ্কারের গুরুত্ব 

যেকোনো ঘড়ির ব্যবহার করা হয় সঠিক সময়ের বিষয়ে জানার জন্যে। এখনের সময়ে সময় দেখার জন্যে আমাদের কাছে অনেক ধরণের উপকরণ গুলো রয়েছে, যেমন – স্মার্ট ওয়াচ, এনালগ ওয়াচ, ডিজিটাল ওয়াচ, ইলেকট্রনিক ওয়াচ, স্মার্টফোন ইত্যাদি।

উপকরণ বা উপায় তো আজ থেকে অনেক বছর আগেকার লোকেদের কাছেও ছিল, তবে সেগুলো একেবারে সঠিক সময় দেখাতে পারতোনা।তারা এটা অবশই বুঝতে পারতেন যে এখন সময় কি হতে পারে, তবে যতটা সঠিক সময় আমরা দেখে থাকি সেটা সেই সময় দেখা বা জানা সম্ভব ছিলোনা।

এখনের সময়ে যেকোনো ব্যক্তি ঘড়ির মাধ্যমে একেবারে সঠিক সময় দেখতে পারছেন, এর ফলে আমরা সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে পারছি।মূলত, দেখতে গেলে ঘড়ি না থাকলে আমরা সময়ের মূল্য কখনোই বুঝতে পারতামনা এবং সময়ের সাথে চলাটা সম্ভব হয়ে  দাঁড়াতোনা।

আমাদের শেষ কথা,,

তাহলে বন্ধুরা, আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা ঘড়ি কে আবিষ্কার করেন এবং ঘড়ির আবিষ্কারের ইতিহাস নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি।

আশা করছি আমাদের আজকের আর্টিকেল আপনাদের অবশই ভালো লাগবে। 

ঘড়ির ইতিহাস নিয়ে লিখা আমাদের আজকের আর্টিকেলটি যদি সত্যি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশই আর্টিকেলটি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করবেন।

এছাড়া, আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে, নিচে কমেন্ট করে অবশই জানিয়ে দিবেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button