Computer

মাইক্রোসফট উইন্ডোজ (windows) কি ? এর সুবিধা, বৈশিষ্ট এবং প্রকার

কোন উইন্ডোজ ভালো ? কোন ভার্সন ব্যবহার করবো ?

আজকাল প্রায় প্রত্যেকেই Windows OS এর কোনো না কোনো একটি ডিভাইস তো অবশই ব্যবহার করেছেন।

হতে পারে আপনি একটি Windows laptop, computer বা Windows smartphone ব্যবহার করেছেন ?

তবে, উইন্ডোজ ডিভাইস ব্যবহার করে থাকলেও অনেকেই আবার এই উইন্ডোজ এর বিষয়ে কিন্তু ভালো করে জানেননা।

কারণ, ইন্টারনেটে বাংলাতে যেকোনো তথ্য পাওয়াটা তেমন একটি সুবিধের কাজ মোটেও না।

তবে চিন্তা করবেননা, আপনি যদি বাংলাতে জানতে চাচ্ছেন যে “windows কি” এবং এর “সুবিধা ও বৈশিষ্ট গুলো কি কি“,

তাহলে আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে MS Windows এর সাথে জড়িত সম্পূর্ণ তথ্য আপনারা পাবেন।

এমনিতে হতে পারে আপনাদের মধ্যে অনেকেই, Microsoft এর “উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম (Windows Operating System)” এর বিষয়ে শুনেছেন।

তবে, একটি অপারেটিং সিস্টেম কি এবং এর কাজ কি হয় সেটা হয়ত আপনারা জানেননা।

আর এই, Microsoft Windows হলো একটি জনপ্রিয় Operating System (OS) যার বিষয়ে আমরা প্রত্যেকেই জানি।

নিচে আমি, উইন্ডোজ কি বিষয়টা নিয়ে বলার পর “অপারেটিং সিস্টেম মানে কি” এই বিষয়ে অবশই আপনাদের জানিয়ে দিবো।

কেননা, উইন্ডোজ মানে হলো একটি operating system, আর তাই উইন্ডোজ এর বিষয়ে বুঝতে হলে আপনার অপারেটিং সিস্টেম এর বিষয়ে জানাটা জরুরি।

তাহলে চলুন, নিচে আমরা সরাসরি জেনেনি Windows Operating System কি বাংলা তে

উইন্ডোজ (windows) কি ? (About Windows in Bangla)

Windows হলো Microsoft corporation নামের একটি বিখ্যাত IT company দ্বারা তৈরি করা একটি “Graphical Interface Operating System“.

এই operating system টিকে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন device গুলোকে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে।

যেমন, computer, laptop বা smartphone গুলোতে Microsoft এর Windows OS ব্যবহার করা হয় সেগুলোকে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে।

মাইক্রোসফট উইন্ডোজ হলো অনেক জনপ্রিয়, পপুলার এবং সব থেকে অধিক পরিমানে ব্যবহার হওয়া অপারেটিং সিস্টেম।

আধুনিক এবং উন্নত মানের graphical display এবং features গুলোর কারণে, বর্তমানে এই OS লোকেদের প্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এমনিতে, Microsoft Windows ছিল প্রথম Graphical Display মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারা অপারেটিং সিস্টেম।

তবে, এই উন্নত ও আধুনিক অপারেটিং সিস্টেম আসার আগে লোকেরা MS-Dos OS এর command line ব্যবহার করে কাজ করতেন।

মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এর এতটা জনপ্রিয় এবং প্রসিদ্ধ হওয়ার কারণ এটাও যে, এই OS ব্যবহার করাটা অনেক সহজ।

একটি computer device এর মধ্যে যখন আমরা Windows OS install করে থাকি,

তখন সেই device সাধারণ লোকেদের ব্যবহারের উপযোগী হয়ে পরে।

কেননা, Windows install করার পর আপনি অনেক সহজেই বিভিন্ন কাজ গুলো নিজের computer device এর মধ্যে করতে পারবেন।

যেমন, বিভিন্ন applications এর ব্যবহার, file store করা, games খেলা, videos & movies দেখা, internet ব্যবহার করা ইত্যাদি।

November 10, 1983 সালে version 1.0 এর সাথে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এর প্রথম ভার্সন নিয়ে আসা হয়েছিল।

তবে তার পর, উইন্ডোজ এর প্রচুর উন্নত এবং আপডেটেড ভার্সন বের করা হয়েছে।

বর্তমানে, Microsoft Windows 10 হলো সব থেকে নতুন Windows version.

Windows OS মূলত ঘরে ও অফিসে থাকা personal computers (PC) গুলোতে অধিক পরিমানে ব্যবহার করা হয়।

তাহলে বুঝলেন তো, “windows কি” ?

Windows হলো একটি GUI-based operating system“.

Windows নাম কেন দেওয়া হয়েছিল ?

এখন হয়তো আপনি প্রশ্ন করতে পারেন যে, “একটি অপারেটিং সিস্টেম এর নাম উইন্ডোজ কেন রাখা হয়েছিল” ?

তবে এর উত্তর অনেক সোজা,

আগেকার সময়ে থাকা অপারেটিং সিস্টেম গুলোতে ছিল command line-styled interface যেখানে আলাদা আলাদা কম্যান্ড লাইন (command line) ব্যবহার করে কম্পিউটার কে নির্দেশ দেওয়া যেতো।

তবে, মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ছিল আধুনিক GUI-bassed OS যেখানে প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা content, file বা software আলাদা আলাদা screen এর Windows গুলোতে ওপেন হয়।

মানে, যদি আপনি একটি application open করেছেন, সেটা একটি আলাদা windows screen এর মধ্যে ওপেন হবে,

এবং আবার যদি আপনি একি সময় অন্য একটি application বা media file open করেছেন, সেটাও একটি আলাদা window screen এর মধ্যে ওপেন হবে।

তাই, এই অপারেটিং সিস্টেম এর নাম রাখা হয়েছিল “Windows“.

আর, উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এর এই আলাদা আলাদা windows screen এর মধ্যে ওপেন হওয়ার সুবিধার ফলে,

কম্পিউটার ডিভাইস এর মধ্যে multitasking করাটা অনেক সহজ হয়ে গেছে।

Operating system কি ?

অপারেটিংসিস্টেম কি, এই বিষয়ে আমি আগেই আপনাদের বলেছি।

তবে যেহেতু মাইক্রোসফট উইন্ডোজ হলো একটি অপারেটিং সিস্টেম (OS),

তাই আপনার প্রথমেই OS কি সেটা বুঝতে হলে।

Operating system কে আবার system software বলেও বলা যেতে পারে।

এর মূল কাজ হলো, computer hardware, software resources ইত্যাদি গুলোকে পরিচালনা করা এবং computer programs গুলোকে কাজ করার ক্ষেত্রে সাহায্য করা।

যেকোনো ধরণের computer device এর ক্ষেত্রে একটি operating system থাকাটা জরুরি।

আবার, অপারেটিং সিস্টেম এমন একটি কম্পিউটার সিস্টেম যেটা user এবং computer এর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করার একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।

আমরা প্রত্যেকেই জানি যে, কম্পিউটার হলো একটি মেশিন এবং কম্পিউটার আমাদের ভাষায় দেওয়া নির্দেশ গুলো বুঝতে পারেনা।

তাই, এক্ষেত্রে অপারেটিং সিস্টেম এর কাজ হলো ইউসার দ্বারা দেওয়া নির্দেশ গুলোকে কম্পিউটার কে সঠিক ভাবে বুঝানো।

একটি OS এর মাধ্যমেই computer প্রত্যেক user দ্বারা দেওয়া নির্দেশ গুলোকে বুঝতে পারে এবং সেভাবেই আউটপুট প্রদান করে।

সোজা ভাবে বললে, একটি operating system ছাড়া user রা সেটাকে ব্যবহার করতে পারবেনা।

মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এর কাজ কি ?

Windows এর কাজ কি ?, প্রশ্নটি করলে এর উত্তরে বলা যেতে পারে যে,

সেই সব কাজ গুলো উইন্ডোজ করে থাকে যেগুলো একটি অপারেটিং সিস্টেম করে থাকে।

  • Computer hardware, software resources ইত্যাদি গুলোকে পরিচালনা করা।
  • User এর জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে একটি সহজ পরিবেশ তৈরি করা।
  • Computer program গুলোকে কাজ করার ক্ষেত্রে সাহায্য করা।
  • User এবং computer এর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা।
  • User এর দেওয়া নির্দেশ গুলোকে কম্পিউটারকে তার ভাষাতে বুঝিয়ে দেওয়া।
  • Peripheral devices গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা।
  • File management, memory management, process management ইত্যাদি কাজ গুলো করা।

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এর বৈশিষ্ট গুলো কি ?

উইন্ডোজ এর বৈশিষ্ট নিয়ে বললে বলার অনেক কিছুই রয়েছে।

আজ অধিকাংশ লোকেরাই নিজেদের PC (personal computer) গুলোতে Microsoft Windows OS ব্যবহার করছেন।

আর তাই, এতটা জনপ্রিতার কিছু তো কারণ অবশই থাকতে হবে।

  1. Windows OS এর মধ্যে আপনি অনেক তাড়াতাড়ি কাজ করতে পারবেন। Multitasking, application, file management ইত্যাদি প্রত্যেকটি কাজ smooth ভাবে করা যাবে। তবে, OS কতটা ফাস্ট কাজ করবে সেটা অনেকটা নির্ভর করে আপনার কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার কনফিগারেশন এর ওপরে।
  2.  Windows এর জন্য যেকোনো ধরণের নানান softwares এবং application ইন্টারনেটে আপনি পেয়ে যাবেন। তাছাড়া, software compatibility কিন্তু উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এর ক্ষেত্রে অনেকটাই ভালো।
  3. আপনার কম্পিউটারে উইন্ডোজ OS ব্যবহার করার জন্যে তেমন ভারী ভারী hardware configuration এর প্রয়োজন নেই। 4GB RAM memory থাকা কম্পিউটার সিস্টেম গুলোতেও Windows 7 ব্যবহার করে অনেক smooth ভাবে operate করতে পারবেন। তাছাড়া, Windows 10 ও বেশিরভাগ lower hardware computer system গুলোতেই ভালো করে গাজ করে।
  4. যখন কথা আসে looks এবং design এর তখন উইন্ডোজ এর যেকোনো ভার্সন আমার অনেক পছন্দের। Windows 7, 8 বা 10 প্রত্যেকটি Windows version এর মধ্যে আধুনিক এবং আকর্ষণীয় looks এবং design অবশই রয়েছে।
  5. Windows OS দেখতে অনেক পরিষ্কার এবং organized.
  6. Virus এবং security নিয়ে আপনার চিন্তা করতে হয়না, কারণ Windows 10 এর সাথে আমাদের দেওয়া হয় অত্যাবশকীয় Windows security options এবং Windows defender antivirus protection.
  7. নিয়মিত ভাবে official updates নিজে নিজেই download এবং install হতে থাকে, যার ফলে নতুন নতুন features, functions এবং security options নিজে নিজেই যোগ হয়ে থাকে।

উইন্ডোজ এর প্রকার গুলো কি কি ?

যেকোনো operating system বিভিন্ন প্রকারে বিভাজিত করা থাকতে পারে।

তবে, মূলত ২ টি বিশেষ ভাগে ভাগ করা হয় উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম গুলোকে।

  • Single User OS
  • Multiple User OS

চলুন, উইন্ডোজ এর এই দুটো প্রকারের বিষয়ে ভালো করে জেনেনি।

১. Single user Windows OS

Single user OS এর ক্ষেত্রে একটি সময়ে কেবল একজন ব্যক্তি কম্পিউটারের ব্যবহার করতে পারবেন।

বেশিরভাগ লোকেরা বর্তমানে এই ধরণের OS নিজের ঘরে ঘরে বা অফিসে থাকা PC / laptop গুলোতে ব্যবহার করে থাকেন।

২. Multiple user Windows OS

এই ধরণের OS এর ক্ষেত্রে একটি সময়ে একজন বা একাধিক লোকেরা একসাথেই সেই কম্পিউটারে কাজ করতে পারবেন।

Multi user operating system গুলোকে মূলত বড় বড় কোম্পানি গুলোতে ব্যবহার করা হয়।

এক্ষেত্রে, বিভিন্ন কম্পিউটার গুলো একটি নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে একটি OS এর মধ্যেই কাজ করতে পারে।

উইন্ডোজ এর ইতিহাস – (History of Windows)

যখন আমরা মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এর ইতিহাস নিয়ে কথা বলবো তখন অবশই বিভিন্ন আলাদা আলাদা উইন্ডোজ এর ভার্সন গুলোর বিষয়েও আপনারা জানতে পারবেন।

কারণ, উইন্ডোজ এর মূল ইতিহাস এর সর্বপ্রথম উইন্ডোজ ভার্সন থেকেই শুরু হয়।

Bill Gates এর দ্বারা November 10, 1983 সালে Microsoft Windows এর ঘোষণা করা হয়।

তবে এর আগেই, ১৮৮১ সালে মাইক্রোসফট দ্বারা MS-DOS OS এর launch করা হয়ে গিয়েছিলো।

এর পর, November 1985 সালে Windows 1.0 version এর ঘোষণা করে দেওয়া হলো।

প্রথম সময়ে Microsoft দ্বারা Windows কে দুটো আলাদা আলাদা ভাগে ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল।

একটি হলো “MS-DOS family” এবং আরেকটি হলো “Windows NT“.

Windows 1.0 এর পর এর বিভিন্ন নতুন নতুন ভার্সন গুলো সময়ে সময়ে নিয়ে আসা হলো।

Windows 1.0

এটা ছিল উইন্ডোজ এর সর্ব প্রথম ভার্সন যেটাকে ১৯৯৫ সালের নভেম্বর মাসে launch করা হয়েছিল।

এখানে অনেক ধরণের basic tools এবং functions দেওয়া হয়েছিল যেমন, calender, calculator, MS paint ইত্যাদি।

এই OS version মূলত MS-DOS এর ওপরেই কাজ করতো।

Windows 2.0

১৯৮৭ সালে release হওয়া এই উইন্ডোজ ভার্সন ১.০ ভার্সন থেকে কিছুটা উন্নত ও আধুনিক ছিল।

এখানে ইউসার যেকোনো উইন্ডোজ স্ক্রিন minimize এবং maximize করতে পারতো।

এই OS version টিকে মূলত Intel 286 processor এর ক্ষেত্রে নিয়ে আনা হয়েছিল।

এছাড়া, এই ভার্সন এর মূল বিষয়টি হলো যে এখানে video graphics arrey (VGA) display system সাপোর্ট হতো।

তাই, 640×480 resolution এর মধ্যে 16 colors এর ব্যবহার এখানে করা সম্ভব ছিল।

উইন্ডোজ এর এই ভার্সন এর মধ্যে বিভিন্ন নতুন নতুন tools এবং features গুলোকে introduce করা হলো।

যেমন, Excel, Word, CorelDraw এবং PageMaker.

Windows 2 এর মধ্যেই প্রথম বারের জন্যে control panel এর সুবিধা দেওয়া হলো।

এই control panel এর মধ্যে প্রায় অনেক জরুরি system settings এবং configuration options গুলোকে রাখা হলো।

Windows 3.0

1990 সালে Windows 3.0 reseale করা হয়েছিল। উইন্ডোজ এর এই ভার্সন এতটা সফল হয়েছিল যে ২০০১ সালেও এই ভার্সন এর চাহিদা কমে আসেনি।

GUI system টিকেও এই ভার্শনের মধ্যে আপডেট করা হয়েছিল এবং নতুন নতুন icon যোগ করা হয়েছে।

এই ভার্সন এর মধ্যে কম্পিউটারের একটি hard drive এর প্রয়োজন ছিল।

এই উন্নত ভার্সন এর মধ্যে virtual memory, improved graphics এবং multitasking এর ক্ষমতা থাকার ফলে অনুমানের থেকে অধিক copies বিক্রি হয়েছিল এই OS version এর।

অনেক পপুলার উইন্ডোজ গেম Solitaire কে Windows 3.0 ভার্শনে প্রথম বারের জন্যে যোগ করে দেওয়া হয়েছিল।

Windows 3.1

1992 সালে Windows 3.1 version release করা হয়েছিল কিছু অধিক আধুনিক ও উন্নত features এর সাথে।

এই ভার্সন এর মধ্যে font functionality নিয়ে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।

এই উইন্ডোজ ৩.১ ভার্সন ব্যবহার করার জন্য 1MB RAM এর প্রয়োজন ছিল।

সবচেয়ে মজার কথা হলো, এটা সেই প্রথম Windows OS যেটাকে একটি CD-ROM এর মাধ্যমে distribute করা হয়েছিল।

Multimedia functionality এই version এর মধ্যে support হতো যেখানে external musical instruments এবং MIDI device গুলোকে connect করার সুবিধে ছিল।

Windows 95

August 1995 সালে launch হওয়া Windows এর এই version সম্পূর্ণ উন্নত এমন আধুনিক ছিল আগেকার ভার্সন গুলোর তুলনায়।

এই version এর মধ্যেই Windows এর start button এবং start menu কে যোগ করা হয়েছিল।

Win95 সেই প্রথম MS operating system ছিল যেটাতে long filenames গুলো support করা হতো।

এই OS এর মূল গুরুত্ব হলো যে এখানে 32-bit application support ছিল।

মানে, কেবল এই operating system কে লক্ষ্য করে বিভিন্ন application গুলোকে তৈরি ও ব্যবহার করা যেত।

বিভিন্ন নতুন নতুন updates এবং features এই উইন্ডোজ ভার্সন এর মধ্যে এসেছিলো।

Windows 98

Windows 98 launch করা হলো 1998 সালে মাইক্রোসফট দ্বারা।

এই আধুনিক OS এর মধ্যে FAT32, AGP, MMX, USB, DVD, ACPI ইত্যাদি উপলব্ধ ছিল।

USB support এর ওপরে বিশেষ নজর ও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল এই ভার্সন এর মধ্যে।

Back এবং forward navigation button এই version এর মধ্যে introduce করা হয়েছিল।

Microsoft Windows ME

২০০০ সালের September 14 তারিখে Microsoft Windows ME কে launch করা হয়েছিল।

Windows millennium (ME) edition সেই শেষ উইন্ডোজ ভার্সন ছিল যেটাকে শেষ বারের জন্যে MS-DOS kernel এর ওপরে তৈরি করা হয়েছিল।

এখানে, digital media র ওপরে অধিক নজর দেওয়া হয়েছে এবং সেই হিসেবে support প্রদান করা হয়েছে।

IE 5.5, Windows Media Player 7 এবং Windows Movie Maker কে এই ভার্শনে প্রথম বার দেখা গেছে।

Windows 2000

Microsoft এর business-oriented system যেটা হলো Windows NT, এর ওপরেই সম্পূর্ণ ভাবে bassed এই Windows 2000.

এই ভার্সন এর মধ্যে একাধিক external device গুলোকে একসাথে plug and play করা সম্ভব ছিল।

পরের সময়ে, Microsoft দ্বারা Windows 2000 এর ৪ টি আলাদা আলাদা version launch করা হলো।

Windows XP

অনেক জনপ্রিয় এবং বর্তমানেও ব্যবহার হওয়া এই উইন্ডোজ ভার্সন লঞ্চ করা হয়েছিল ২০০১ সালে।

এটা অনেক বেশি user-friendly OS যেটাকে জেকেও অনেক সহজেই ব্যবহার করতে পারে।

April 2014 সালে, Windows XP জন্যে শেষ update এসেছিলো।

OS এর theme অনেক আকর্ষণীয় তবে সাধারণ রাখা হয় এই ভার্শনে।

Start menue এবং task bar এর নতুন visual look, সবুজ স্টার্ট বাটন, Vista wallpaper, বিভিন্ন visual effects এই Windows XP ভার্সন এর মধ্যে দেখা গেছে।

Built-in CD burning, autoplay ইত্যাদি প্রচুর আধুনিক features এই version এর মধ্যে দেখা গেছে।

Windows Vista

XP launch করার প্রায় ৫ বছর পরেই ২০০৬ সালে মাইক্রোসফট দ্বারা লঞ্চ করা হয় Windows Vista OS এর।

এই OS এর মধ্যে security system অনেক শক্তিশালী ছিল।

Data protection এর জন্যে এখানে BitLocker driver Encription এর feature দেওয়া হয়েছিল।

এই ভার্সনটি তেমন একটি user-friendly ছিলোনা এবং অনেক bugs এর মধ্যে দেখা গেছে।

তাই, প্রায় ৩ বছর পর্যন্ত এই OS version সক্রিয় ছিল।

তবে, PC gamming এর ক্ষেত্রে performance অনেক ভালো হওয়া দেখা গেছিলো।

কারণ, এই OS version এর মধ্যে ছিল DirectX 10 technology.

Windows 7

Microsoft Windows 7 কে release করা হয়েছিল October 2009 সালে।

এই Windows version সব থেকে অধিক জনপ্রিয় হয়ে পড়েছিল এবং এখনো অনেকেই এই OS ব্যবহার করতে পছন্দ করেন।

এই OS দেখতে আকর্ষণীয় হওয়ার সাথে সাথে এটা পুরোনো ভার্সন গুলোর তুলনায় অনেক fast, stable এবং simple.

Windows XP র পরে Windows 7 লোকেদের প্রিয় Windows OS হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

Windows 8

October 2012 সালে উইন্ডোজ এর এই OS version launch করা হয়েছিল।

Windows 8 পুরোনো প্রত্যেক version গুলোর তুলনায় অনেক আলাদা এবং আধুনিক ছিল।

এখানে, start button এবং start menu কে সম্পূর্ণ ভাবে বদলে দেওয়া হয়েছে।

পুরোনো উইন্ডোজ ভার্সন গুলোর তুলনায় অনেক দ্রুত ভাবে কাজ করার ক্ষমতা রাখে Windows 8.

এখানে, faster USB 3.0 devices গুলোর জন্যে support প্রদান করা হলো।

Windows 10

30 September 2014 সালে Windows 10 কে launch করা হয়েছিল।

Windows 10 হলো উইন্ডোজ এর সব থেকে latest vesrion যেটা সম্পূর্ণ আধুনিক এবং feature loaded OS.

Windows 8 এর তুলনায় 10 ব্যবহার করে অনেক বেশি সুবিধা পাওয়া যায়।

তাছাড়া, বর্তমানের বাজারে বিক্রি হওয়া laptops এবং desktop computers গুলোর মধ্যে Windows 10 দেওয়া হয়।

এখানে বিভিন্ন আলাদা আলাদা modes দেওয়া হয়েছে।

যেমন, keyboard mode, mouse mode, tablet mode ইত্যাদি।

তাহলে আশা করছি আপনারা উইন্ডোজ এর বিভিন্ন প্রকার গুলোর বিষয়ে ভালো করে জেনেনিতে পেরেছেন।

কোন উইন্ডোজ ভালো ? কোন ভার্সন ব্যবহার করবো ?

দেখুন বন্ধুরা, এই প্রশ্নের উত্তর একেবারেই সোজা এবং সহজ।

আপনাদের যেই উইন্ডোজ ভার্সন ব্যবহার করে ভালো লাগে সেটাই ব্যবহার করতে পারবেন।

তবে আমি আপনাদের পরামর্শ দিবো “Windows 7” বা “Windows 10” ব্যবহার করার।

কারণ,

১. উইন্ডোজ ৭ অপারেটিং সিস্টেম যেকোনো low hardware configuration থাকা system এর মধ্যে অনেক দ্রুত ভাবে কাজ করবে।

তাছাড়া, Windows 7 এর মধ্যে আধুনিক features, visuals এবং software support রয়েছে।

Auto updates এবং security features অবশই উইন্ডোজ এর এই ভার্শনের মধ্যে দেখতে পারবেন।

২. উইন্ডোজ ১০ আমার হিসেবে সব সময় সেরা।

Security, features, functions এবং software support সবটাই এখানে থাকছে।

তাছাড়া, advanced security এবং firewall options এই OS এর গুরুত্ব অধিক বেশি বাড়িয়ে তোলে।

Gaming, official work বা entertainment প্রত্যেক ক্ষেত্রেই Windows 10 আমার সহিসেবে সেরা।

তবে মনে রাখবেন যে, Windows 10 install করার জন্য আপনার কম্পিউটারে যাতে কমেও 4GB RAM এবং একটি ভালো dual-core বা quad core processor থাকে।

এনাহলে, কম্পিউটার কিছুটা স্লো বা হ্যাং হতে পারে।

মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এর সুবিধা – (Advantages of Windows OS)

মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এর এমনিতে প্রচুর সুবিধে রয়েছে যেগুলোর মধ্যে কিছুটা আমি নিচে বলে দিচ্ছি।

  • Easy to use – এই অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করাটা অনেক সহজ একটি কাজ। সময়ে সময়ে মাইক্রোসফট দ্বারা করা বিভিন্ন updates এবং changes এর কারণে এই OS এর ব্যবহার অনেক সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
  • Hardware support – যেকোনো hardware device এর ক্ষেত্রে Microsoft Windows এর hardware support অনেক ভালো। অধিক বেশি পরিমানে ব্যবহার হওয়ার ফলে যেকোনো হার্ডওয়্যার কোম্পানি গুলো হার্ডওয়্যার এর সাথে জড়িত driver softawre গুলোকে Windows support রেখেই তৈরি করে।
  • Gaming support – আপনি যদি বর্তমান সময়ের আধুনিক গেমিং এর মজা নিতে চাচ্ছেন, তাহলে উইন্ডোজ ১০ আপনার জন্যে সেরা অপারেটিং সিস্টেম। আপনারা লেটেস্ট গেমিং এর জন্য জরুরি হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার গুলোকে উইন্ডোস OS এর মধ্যে আরাম চালাতে পারবেন।
  • Plug & play support – মূলত Windows 10 OS এর মধ্যে আমরা এই plug & play feature বিশেষ ভাবে দেখতে পাই। কেননা, প্রায় অনেক hardware components গুলোর ক্ষেত্রে Windows এর support প্রচুর বেশি। তাই, আপনি বিভিন্ন ধরণের hardware গুলোকে সরাসরি নিজের সিস্টেম এর মধ্যে pluin করেই ব্যবহার করতে পারবেন।
  • Easy to get – Microsoft Windows এর প্রায় অনেক version আপনারা যেকোনো computer shop বা অনলাইনে অনেক সহজেই কিনে নিতে পারবেন। তাছাড়া, Microsoft এর website থেকে Windows 10 এর free copy জেকেও ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন।

উইন্ডোজ এর অসুবিধা – (Disadvantages of Windows)

সুবিধা থাকার মতোই উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এর অনেক গুলো অসুবিধা অবশই রয়েছে।

  • Price – Microsoft Windows OS এর দাম অন্যান্য OS গুলোর তুলনায় অনেক বেশি। তাই, সবার পক্ষ্যে এই OS ব্যবহার করাটা সম্ভব না।
  • Security – Windows OS এর security নিয়ে আগের থেকেই অনেক চর্চা এমনিতে হয়ে চলেছে। দেখা গেছে যে Windows OS অনেক সহজেই hack হয়ে থাকে। বর্তমানে বিভিন্ন advanced security options রয়েছে যদিও এই OS এর security নিয়ে প্রশ্ন সব সময় থেকে গেছে।
  • Automatic updates – বর্তমানে Windows OS গুলো নিজে নিজেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে updates download ও install করে থাকে। দেখতে গেলে এটা একটি ভালো বিষয় হলেও কিছু ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের অত্যাধিক ব্যবহার এবং নিজে নিজে হওয়া system restart আপনাকে বিরক্তি করতে পারে।

আমাদের শেষ কথা,,

তাহলে বন্ধুরা, আজকে আমরা জানলাম যে, মাইক্রোসফট উইন্ডোজ কি (about Microsoft Windows in Bangla) এবং এর বিভিন্ন প্রকার ও ভার্সন গুলোর বিষয়ে।

এছাড়াও, আমরা জানলাম উইন্ডোজ এর ইতিহাস নিয়ে কিছু তথ্য।

তবে, উইন্ডোজ এর বিষয়ে লিখা আমার আজকের এই আর্টিকেল আপনাদের ভালো লেগে থাকে,

তাহলে অবশই আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন।

তাছাড়া, আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে,

নিচে কমেন্ট করে অবশই জানিয়ে দিবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button